বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ। এক সময় এই ইলিশ মাছ গরিব-ধনী সবাই খেতে পারত। কিন্তু আজকাল ইলিশ বিলাসিতা খাবারে পরিণত হয়েছে। ইলিশ এখন নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সোনার হরিণ। এক কেজি ইলিশের দাম দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পুরো মাসের মাছ কিনতে পারে। যেখানে এক কেজি ইলিশের দাম ২০০০ টাকা সেখানে ২০০০ টাকায় কম দামের প্রায় ১০ কেজি মাছ কিনতে পারে। সবমিলিয়ে ইলিশ মাছ এখন সোনার হরিণ।
১৮শ’র ইলিশ ১২শ’তে রপ্তানি, নেপথ্যে শুভঙ্করের ফাঁকি : অনেক আলোচনা-সমালোচনা শেষে ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্তের পর লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে ইলিশের দাম। দেশের বাজারে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে দাম। শুধু বাংলাদেশের বাজারেই নয়, ভারতের বাজারে ইলিশ কিনতেও হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। ফলে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে বিপাকে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়। পরে তা কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মোট ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খুলনার ফুলতলার লোকজ ফ্যাশন ২০ টন এবং বাকি ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে রপ্তানির বৈধতা পায়। এর মধ্যে ঢাকার ১৫টি, যশোরের ১২টি, পাবনার সাতটি, বরিশালের চারটি, খুলনার চারটি, চট্টগ্রামের দুটি এবং সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, নড়াইলের একটি করে প্রতিষ্ঠান আছে। বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রতিদিনই ট্রাকে করে ইলিশ যাচ্ছে ভারতে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারেও। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, ১০ ডলার করে প্রতি কেজি মূল্যে তারা ইলিশ রপ্তানি করছে। তবে, স্থানীয় বাজার থেকে ১৮০০ থেকে ১৯৫০ টাকা কেজি দরে ইলিশ কিনতে হচ্ছে। অর্থাৎ বেশি দামে কিনে কম দামে রপ্তানি করা হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, ইলিশের বাজার নিয়ন্ত্রণ আমাদের একার পক্ষে সম্ভব না। এর কয়েক ধাপে স্টেকহোল্ডার আছে। ইলিশ তো ব্যয়বহুল পণ্য এবং রপ্তানি হচ্ছে। এ জন্য বিভিন্ন স্তরে পর্যবেক্ষণ করা উচিত। আমরা আমাদের স্থান থেকে চেষ্টা করছি মূল্য প্রকাশ্যে আনার। অর্থাৎ আমরা বেশ কয়েকটি অভিযান চালিয়েছি। এ সময় আড়তদারদের চালান রশিদ দেয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক এবং খুচরা বিক্রেতাদের মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। কেউ কেউ নির্দেশনা মানছেন, আবার অনেকেই মানছেন না বলে তথ্য পেয়েছি। আমরা পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে যারা নির্দেশনা মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাঁদপুর থেকে ট্রেনে করে ইলিশ পরিবহন বন্ধ হয়ে যায় প্রায় এক দশক হলো। ফলে সড়ক পথে ইলিশ পরিবহনে বেশি অর্থ ব্যয় হচ্ছে আড়ত ব্যবসায়ীদের।
রাজশাহীতে ২০০ টাকায় মিলছে বড় ইলিশের টুকরা : রাজশাহীতে কেটে পিস হিসেবে ইলিশ মাছ বিক্রি করা শুরু হয়েছে। ফলে ক্রেতারা চাইলে নিজের চাহিদা মতো ইলিশের পিস কিনতে পারছেন। এক কেজি সাইজের একটি ইলিশের এক টুকরা (আনুমানিক ১০০ গ্রাম) কেনা যাচ্ছে ২০০ টাকায়।
এমন উদ্যোগে ক্রেতারা খুশি হলেও বিক্রেতারা বলছেন, সর্বনিম্ন ২৫০ গ্রামের নিচে ইলিশ কেনাবেচায় লোকসান হবে তাদের। অন্তত ২৫০ গ্রাম ইলিশ কিনলে মাছের প্রায় সব অংশ থেকে ভাগ পাবেন ক্রেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজারের মাছপট্টিতে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের নেতারা। এ সময় তারা ব্যবসায়ীদের ইলিশ মাছ কেটে বিক্রির জন্য অনুরোধ জানান।
জানা গেছে, রাজশাহীর বাজারে ৬০০ গ্রাম থেকে শুরু করে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায়। চড়া দামের কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের পক্ষে আস্ত ইলিশ কেনা সম্ভব হচ্ছে না। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় সুস্বাদু মাছটির স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে। তাদের জন্যই নেয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ।
একজন বিক্রেতা জানান, আজ থেকে রাজশাহীর বাজারে ইলিশ মাছ কেটে বিক্রি করা শুরু হয়েছে। এটি ভালো উদ্যোগ। বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকা কেজি দরে। আর প্রতি ২৫০ গ্রাম ইলিশ মাছের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।
জেলেদের দুর্দশা : বুঝতে শেখার পরই বাবার সঙ্গে মাছ ধরার পেশায় যুক্ত হন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মো. আলমগীর হোসেন। দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে এ পেশায় থেকে তার ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি। বরং ঋণের জালে জড়িয়ে তিন বেলা খেয়ে বেঁচে থাকাই এখন দায়! এর মধ্যে একটু অসুস্থ হলে এলাকাবাসীর কাছে হাত পেতে চালাতে হয় চিকিৎসার খরচ। নিজ পরিবারের এমন দুর্দশার কথা বলছিলেন জেলে আলমগীর হোসেনের স্ত্রী রোকসানা বেগম। শুধু আলমগীর একা নন, দুর্দশার এমন গল্প বরগুনার অধিকাংশ জেলে পরিবারের। দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার টন মাছ বিক্রি হয় বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। এর মধ্যে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটেই চলতি বছরের ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১৪০০ টন মাছ আনেন জেলেরা। এর মধ্যে ইলিশ মাছ ছিল ৯৫৭ টন। গভীর সমুদ্রে প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে তারা এসব মাছ আহরণ করেন।
দেশে ব্যাপক চাহিদার পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে ইলিশসহ অন্যান্য মাছ। দামও ভালো পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবুও জেলেদের জীবনমানের উন্নতি নেই। মাছ বিক্রির পর যে টাকা জেলেরা পান তার অর্ধেক দিতে হয় ট্রলারের মালিককে। এরপর দাদনের টাকাসহ সব ব্যয় মিটিয়ে বাকি টাকা জেলে ও মাঝিদের মাঝে সাড়ে ২০ ভাগে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে ট্রলারে থাকা মাঝি পান তিন ভাগ, সহকারী মাঝি পান ১.৫ ভাগ, বাবুর্চি পান ১.৫ ভাগ এবং ট্রলারে থাকা মিস্ত্রি পান ১.৫ ভাগ। বাকি সাধারণ জেলেরা পান সাড়ে ১২ ভাগ। এক্ষেত্রে যদি ছোট ট্রলার হয়, সেক্ষেত্রে জেলের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০-১২ জন। যদি ১২ জন ধরা হয় তাহলে একেকজনের ভাগ্যে মাত্র এক ভাগের সমপরিমাণ অর্থ জোটে।
আড়তদার থেকে শুরু করে ট্রলারের মালিক, বাজারের খুচরা মাছ বিক্রেতা- সবাই লাভবান হচ্ছেন। আর যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর থেকে মাছ আহরণ করে নিয়ে আসছেন সেই জেলেরাই প্রকৃত লাভের অঙ্ক থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সাধারণ জেলেদের ভাগ্যে জোটে লাভের সামান্যতম অংশ। উল্টো সাগর থেকে শূন্য হাতে ফিরলে ঘাড়ে চাপে ঋণের খড়গ। এভাবেই দাদনের ঋণের ফাঁদে বন্দি হচ্ছেন অধিকাংশ জেলে।
এক জেলে বলেন, ‘মাছ শিকারের জন্য প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন আমাদের সাগরে থাকতে হয়। এ সময় মহাজনের (আড়তদার) থেকে নেয়া টাকার একটা অংশ পরিবারের কাছে দিয়ে যাই। যাতে তারা তাদের খরচ চালাতে পারে। বাকি টাকা দিয়ে ট্রলারের তেল, প্রয়োজনীয় খাবার ও উপকরণ নিয়ে আমরা সাগরে যাই। পরে সাগর থেকে ফিরে মাছ বিক্রি করে দাদন নেওয়ার টাকা পরিশোধ করি।’ ‘অনেক সময় আবহাওয়া খারাপ হলে সাগর থেকে দ্রুত ঘাটে ফিরতে হয়। কোনো কোনো সময় সাগরে পর্যাপ্ত মাছ মেলে না। ফলে ট্রলারের খরচও ওঠে না। এমন হলে অনেক সময় দাদন পরিশোধ করতে পারি না। এক ঋণের মধ্যে আবারও নানা প্রয়োজনে মহাজনের কাছ থেকে টাকা ঋণ নিতে হয়।’
মৌসুমে কোটি টাকার ইলিশ বিক্রি : ব্যবসায়ীরা ইলিশ কিনে তাতে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে থাকেন। এটি বাজারে নোনা ইলিশ বলে বিক্রি হয়। দেশে এই ইলিশের বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই প্রতি বছর মৌসুম এলেই নোনা ইলিশ তৈরির আড়তগুলোতে চলে ব্যস্ত সময়। তিন মাসের এই মৌসুমে প্রায় কোটি টাকার নোনা ইলিশ বিক্রি হয় বলে জানা গেছে। সেগুলো দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহসহ রপ্তানি হয় বিদেশেও। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নতুন সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে এই নোনা ইলিশ।
জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা মৌসুমে কম মূল্যে বড় ও মাঝারি আকারের ইলিশ কিনে সেগুলোর পেট পরিষ্কার ও আঁশ ছাড়িয়ে নেন। বিশেষ কায়দায় মাছগুলো পরিষ্কার করা হয়। এরপর সামুদ্রিক বা মোটা লবণ দিয়ে কিছুদিনের জন্য তা ড্রামে প্রক্রিয়াজাত করে রাখা হয়। পরে ইলিশের মৌসুম শেষ হলে সেগুলো খোলা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করা হয়।
ভোজনরসিকরা দৈনন্দিন খাবারে অথবা অতিথি আপ্যায়নে এই নোনা ইলিশ পরিবেশন করে থাকেন। এর ঘ্রাণ ও স্বাদে অতুলনীয় এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ।
সরজমিনে হাতিয়ার চেয়ারম্যানঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আসা ইলিশ কিনছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। পরে সেগুলো প্রক্রিয়াজাত করে নোনা ইলিশে পরিণত করবেন তারা। কয়েক মাস মাছঘাটের স্থানীয় কিছু ঘরে স্তূপ করে এবং ড্রামের মধ্যে রেখে নোনা ইলিশগুলো সংরক্ষণ করা হবে। এরপর বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে এসব ইলিশ বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হবে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে।
ইলিশ মাছটি ফালি ফালি করে কেটে ভালোভাবে লবণ দিয়ে ছয় থেকে সাত মাস রেখে দেওয়া হয়। সবশেষে লবণ মেশানো ইলিশগুলো ড্রামে করে সংরক্ষণ করা হয়। বৈশাখ মাসে সেগুলোর ভালো দাম পাওয়া যায়।
নোনা ইলিশ প্রস্তুতকারক সোহরাব আলী ব্যাপারী বলেন, প্রক্রিয়াজাত করার সময় প্রথমে ইলিশের পেট থেকে ডিম আলাদা করে ফেলা হয়। এরপর ইলিশ মাছটি ফালি ফালি করে কেটে ভালোভাবে লবণ দিয়ে ছয় থেকে সাত মাস রেখে দেয়া হয়। সবশেষে লবণ মেশানো ইলিশগুলো ড্রামে করে সংরক্ষণ করা হয়। বৈশাখ মাসে সেগুলোর ভালো দাম পাওয়া যায়। নোনা ইলিশের চাহিদা জামালপুর, ময়মনসিংহে বেশি। তাই মাছগুলো সেখানে পাঠানো হয়।
ইলিশের দামে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব : মেঘনার উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর। এখানে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। বঙ্গোপসাগর ও মেঘনা নদীতে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। একসময় মেঘনায় প্রচুর ইলিশ পাওয়া গেলেও বর্তমানে নাব্যতা সংকটের কারণে তা কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইলিশ গভীর পানির মাছ। মেঘনায় চর জাগায় এখন নদীতে তেমন ইলিশ পাওয়া যায় না। এর মধ্যে চাল-ডাল ও তেলের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে নদীতে গিয়ে জেলেদেরও পোষাচ্ছে না। অল্প সংখ্যক ইলিশ পেয়ে প্রতিদিনই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হচ্ছে তাদের।
জেলে ও আড়তদারদের দাবি, এখন আর নদীতে গিয়ে জেলেদের পোষায় না। আগে যেখানে এক টানে জালে কয়েকশ’ কেজি ইলিশ মিলত এখন সেখানে ১০-১৫ কেজিও মেলে না। নৌকা, তেল ও জেলে মিলিয়ে এক চালানে যে খরচ, সেই খরচও ওঠে না। এর বাইরে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য এখন ঊর্ধ্বগতি। ফলে নদীতে নামতে সাহস দেখাচ্ছেন না স্থানীয় জেলেরা। যারা নামছেন, তাদের বাধ্য হয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে টিকে থাকতে বাড়তি দাম নেয়া ছাড়া তাদের কোনো উপায়ও নেই বলে জানান তারা। জেলে ও আড়তদারদের দাবি, এখন আর নদীতে গিয়ে জেলেদের পোষায় না। আগে যেখানে এক টানে জালে কয়েকশ’ কেজি ইলিশ মিলত এখন সেখানে ১০-১৫ কেজিও মেলে না। নৌকা, তেল ও জেলে মিলিয়ে এক চালানে যে খরচ, সেই খরচও ওঠে না। এর বাইরে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য এখন ঊর্ধ্বগতি। ফলে নদীতে নামতে সাহস দেখাচ্ছেন না স্থানীয় জেলেরা।