সড়ক ও নৌপথের পর আকাশ পথে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে। আর এই সুযোগে দেশের ৫২টি রুটে আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের সংখ্যা বেড়েছে। ৩৪টি বিদেশি এয়ারলাইন্স হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বর্তমানে এই খাতে বিদেশি এয়ারলাইনগুলো ভালো ব্যবসা করছে, বাজারের ৭৫ শতাংশই তাদের দখলে।
তাই তো আগামীতে আরও একটি এয়ারলাইন্স যোগ হতে যাচ্ছে।
বেবিচকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের পর আর কাউকে অনুমতি দিচ্ছে না বেবিচক। এয়ারক্রাফট রাখার জায়গার স্বল্পতার কারণে চাইলেও এখন আর কাউকে অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না। তবে ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের থার্ড টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হলে একসঙ্গে মোট ৩৭টি প্লেন রাখার অ্যাপ্রোন (প্লেন পার্ক করার জায়গা) হয়ে যাবে। তখন একে একে অনুমতি পাবে সবাই। জানা গেছে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার এশিয়া, এয়ার অ্যাস্ট্রা, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, ইত্তিহাদ এয়ারওয়েজ, গালফ এয়ার, জেট এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ,কিংফিশার এয়ারলাইন্স, মালেশিয়ান এয়ারলাইন্স, মালদিভিয়ান এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ, চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইনস, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্স, ড্র্যাগন এয়ার, ড্রুক এয়ার, পারো এমিরেটস, রাখ এয়ারওয়েজ, সৌদি আরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স, থাই এয়ারওয়েজ ইন্টারন্যাশনাল, টার্কিশ এয়ারলাইন্স ও ইয়েমেনিয়া এয়ারলাইন্স দেশের বিভিন্ন রুটে যাত্রী টানছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বছরে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে প্রায় ৯০ লাখের মতো যাত্রী আসা-যাওয়া করেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেন, বর্তমানে ঢাকা থেকে দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন রুটে ৩৪টি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট অপারেশন করছে। নতুন করে আরেকটি এয়ারলাইন্স যুক্ত হচ্ছে। থার্ড টার্মিনাল চালু হলে এয়ারলাইন্সের সংখ্যা আরও বাড়বে। ফ্লাইট বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজস্বও বাড়বে।
এভিয়েশন বিশ্লেষক নজরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাড়লে আমাদের জন্য ভালো। এতে যাত্রী সেবার মান বাড়ার পাশাপাশি কমবে টিকিটের দামও। অনেক সময় যাত্রীদের চাপে বিভিন্ন রুটে সিন্ডিকেট করে টিকিটের দাম বাড়ায়। এয়ারলাইন্সের সংখ্যা বেড়ে গেলে তখন আর এটি থাকবে না।