ঢাকা ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘যৌক্তিক সময় বলে দীর্ঘসময় ঠিক হবে না’

‘যৌক্তিক সময় বলে দীর্ঘসময় ঠিক হবে না’

দৈনিক নয়া দিগন্তের ২ দশক পূর্তি উৎসব উদযাপন হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের গ্র্যান্ড সুলতান কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বরেণ্য শিল্পউদ্যোক্তা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। নয়া দিগন্ত ফেনী অফিসের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ও ফেনী পৌরসভার প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, জামায়াতে ইসলামীর নবনির্বাচিত জেলা আমির মুফতী আবদুল হান্নান, স্টার লাইন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান জাফর উদ্দিন, দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি আবু তাহের প্রমুখ। নয়া দিগন্ত প্রিয়জন সমাবেশের আহ্বায়ক মামুনুর রশিদের সঞ্চালনায় শুরুতে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করেন ফেনীর আল-জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা ফারুক আহমাদ। আবদুল আউয়াল মিন্টু অতীত ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে উন্নত ফেনী গড়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। এই সরকারকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার সরকার বলা যাবে। তবে গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকার বলা যাবে না। এই সরকারকে আমরা সমর্থন দিয়েছি, সমর্থন দিয়ে যাব। নির্বাচনি, সাংবিধানিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিকসহ বিভিন্ন সংস্কার করা হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে সুস্পষ্ট রোড ম্যাপ চাই। যৌক্তিক সময় বলে দীর্ঘসময় ঠিক হবে না। এটাতে আমি বিশ্বাস করি না। টেকসই সংস্কার প্রয়োজন। টেকসই না হলে সংস্কার হবে মূল্যহীন। তিনি আরো বলেন, সংস্কার সেরে অতি দ্রুত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিয়ে দেন। অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দীর্ঘদিন স্বৈরাচারি সরকারের নির্যাতন-নিষ্পেষনে ছিলাম। মারামারি করে বিভক্তির মাধ্যমে সমাধান হবে না। অতীতে যারা অন্যায় করেছে অবশ্যই তাদের বিচার হতে হবে। আইনকে নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না।

মিন্টু আরো বলেন, বিগত ১৬ বছরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শরিক হতে গিয়ে ১ লাখ ৫২ হাজার মামলায় ৬২ লাখ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছিল। জুলাই-আগস্টে যারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন আমরা তাদের স্মরণ করতে চাই। বিএনপি-জামায়াতে ইসলামীসহ যারা গত ১৬ বছর ধরে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে মানুষের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন এবং মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে গেছেন তাদের ভুলে গেলে চলবে না। এই সময়ের মধ্যে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের ভুলে গেলে চলবে না। তাদের অবদানও স্মরণ করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত