অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আমাদের দেশে বেকারের সংখ্যা ১ কোটি ৮০ লাখ। বেকারদের একটি বড় অংশই হচ্ছেই তরুণ। তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কাজ হাতে নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি এই সরকার সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেবে যারা উদ্যোক্তা হতে চান। একইসঙ্গে আমরা জনকল্যাণমুখী ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দেবো। গতকাল বিকালে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘যুবমেলা ২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও টেকসই সমাধানে কীভাবে মধ্যস্বত্বভোগী বাদ দিয়ে সরাসরি কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পণ্য পৌঁছানো যায়- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সে বিষয়ে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই লক্ষ্যে ফসল কমসহ আরও কয়েকটি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে আমরা সহযোগিতা করছি।
আপনারা যারা উদ্যোক্তা আছেন, এধরনের জনকল্যাণমুখী ব্যবসার কথা ভাবতে পারেন। সেক্ষেত্রে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ঋণ সহোযোগিতা আছে। এর বাইরেও যদি কোনো ব্যাংক থেকে ঋণব্যবস্থা করে দিতে হয়, সেক্ষেত্রেও সহায়তা করতে সরকার বদ্ধপরিকর।’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই তরুণ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অনেকেই জানেন না যে, যুব উন্নয়ন অধিদফতর থেকে উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়া হয়। যুব উন্নয়ন অধিদফতরের ওয়েবসাইটে একটা ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। সেখানে আপনারা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের পর ঋণ পাওয়ার ধাপ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ঋণের মাধ্যমে আপনারা যে কোনো উদ্যোগ শুরু করতে পারবেন। আরও বড় পরিসরে ঋণের প্রয়োজন হলে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
কয়েকটা ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের চুক্তি আছে। তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে, আপনাদের ঋণ সহায়তা দিতে পারি।’ ৫ আগস্টের পর যেসব শিক্ষার্থী ট্রাফিকের দায়িত্ব নিয়েছিল, তাদের যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মাধ্যমে উন্নত প্রশিক্ষণ দেয়া হবে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের ট্রাফিক পুলিশের সহায়ক হিসেবে পার্টটাইম চাকরিতে নিয়োগ দেয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। এরইমধ্যে তাদের সিলেকশন চলছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। যেসব দেশ এটাকে কাজে লাগাতে পেরেছে, তারাই এগিয়ে যাচ্ছে।’ তাই দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে যুব উন্নয়ন অধিদফতরের পক্ষ থেকে সারা দেশে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ট্রেনিং আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি। যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।