প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (ইসি) পদে প্রার্থী সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্চ কমিটি প্রথম বৈঠক করছে। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, দক্ষ, নির্ভীক ও নিরপেক্ষদের সিইসি ও ইসি পদে নিয়োগ দেয়া হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটি তাদের প্রস্তাবিত নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে বলেও জানান তিনি। গতকাল রোববার বিকালে সুপ্রিমকোর্টে সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে অংশগ্রহণের আগে সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আজ সার্চ কমিটির কর্মপদ্ধতি ঠিক করা হবে। অন্যান্য কাজ কীভাবে হবে সেটিও নির্ধারণ করা হবে। তিনি জানান, আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে নাম প্রস্তাব বা সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে। গত ২৯ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকার দেশের নির্বাচনি কাঠামোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন তদারকির জন্য ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান মো. মোবাশ্বের মোমেন, রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের নির্বাহী পরিচালক মো. আবরার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জীনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম। আইন অনুযায়ী, সার্চ কমিটি একবার গঠিত হলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি সদস্যপদের জন্য দুজন করে ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করতে ১৫ কার্যদিবসের বেশি সময় লাগে না। এরপর রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনারকে বাছাই করে ইসি গঠন করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় গত ৫ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য চার নির্বাচন কমিশনার পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করা অন্য কমিশনাররা হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব আহসান হাবীব খান, বেগম রাশেদা সুলতানা, মোহাম্মদ আলমগীর এবং আনিছুর রহমান। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত এই কমিশনের অধীনে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি বহুল বিতর্কিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।