বহুল আলোচিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে হয়রানির হাতিয়ার হিসেবে এই আইন ব্যবহার হয়ে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এজন্য আইনটি বাতিল বা সংশোধনের বিষয়ে কিছুদিন ধরেই অন্তর্বর্তীসরকারের উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল। গত ৪ নভেম্বর ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হবে। এই আইনের অধীনে যত মামলা হয়েছে সব মামলাও বাতিল হবে। পাশাপাশি মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করে এমন সব আইন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে সেগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করা উচিত। সেদিকেই যাবে সরকার। এটা বাতিল হবে। পরবর্তী সময়ে যখন নতুন আইন হবে, এটার বেসিক অ্যাপ্রোচ থাকবে সাইবার সুরক্ষা দেয়া, বিশেষ করে নাগরিককে সুরক্ষা দেয়া। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আইনটি ছিল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। পরে সেটি বাতিল করে প্রণীত হয় সাইবার নিরাপত্তা আইন। এই আইন নিয়েও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠে। হয় ব্যাপক বিতর্ক ও সমালোচনা। শেষ পর্যন্ত আইনটি বাতিলের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিল ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার।