ঢাকা ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদশ সম্পর্ক আরো গভীর হবে

মোফাজ্জল করিম
যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদশ সম্পর্ক আরো গভীর হবে

ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হওয়ার ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। যুক্তরাষ্ট্র সেই সম্পর্ক আরো গভীর করার চেষ্টা চালাবে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মোফাজ্জল করিম। তবে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে জো বাইডেন সরকারের যে সম্পর্ক ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় সেই উষ্ণ সম্পর্ক খুব বেশি থাকবে বলে মনে করেন না তিনি। সাবেক এই কূটনীতিক একটি গণমাধ্যমকে বলেন, সরকারের যে সম্পর্ক ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসায় সেই উষ্ণ সম্পর্ক খুব বেশি থাকবে বলে মনে হয় না। এর কারণ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ডেমোক্র্যাট দলীয় হিলারি ও বিল ক্লিনটনের সঙ্গে সৌহার্দ ও বন্ধুত্ব ছিল। এই ধারাবাহিকতা জো বাইডেনও বজায় রেখেছিলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণের পর বাইডেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখেছে। অনেকে মনে করছেন ট্রাম্পের ক্ষেত্রে কিছুটা ছন্দপতন হতে পারে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তন হলেও দেশটির পররাষ্ট্রনীতিতে তেমন পরিবর্তন হয় না। ফলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। যুক্তরাষ্ট্র সেই সম্পর্ক আরো গভীর করার চেষ্টা চালাবে। বাংলাদেশের এখন ওয়েট অ্যান্ড সি অর্থাৎ অপেক্ষা করা এবং দেখা ছাড়া আপাতত কিছু করার নেই। মোফাজ্জল করিম বলেন, নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় কড়া ভাষায় বলেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে। যেটি সত্যিকার অর্থে সম্পূর্ণ অমূলক। সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা কমবেশি আলোচনা হলেও সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একজন ব্যক্তির মন্তব্য সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত এবং অশোভন ছিল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। বর্তমান সরকার তাকে ফেরত এনে আইনের মুখোমুখি করবে। এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে, ট্রাম্প সেটি স্বীকার করেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে। ভূ-রাজনীতির বিষয়ে সাবেক এ কূটনীতিক বলেন, বিশ্বের অনেকের কাছেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবমূর্তি খুব বেশি ভালো নয়। তাকে বলা হয় ‘মোস্ট আনপ্রেডিক্টেবল আমেরিকান প্রেসিডেন্ট’। তার এই পরিচিতি থেকে বের হয়ে আসতে না পারলে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সবাই খুব সতর্কভাবে চলবে। তার কার্যকলাপে লক্ষ্য রাখবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত