অন্তর্বর্তী সরকারে মাত্র চারজন উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বর্তমান সরকার যে ‘এনজিওশাসিত’ নয়, তা প্রমাণ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ তথ্য সামনে আনেন তিনি। গতকাল শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানান প্রেস সচিব। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর ৮ আগস্ট শপথ নেয় অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে এই সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ২১ সদস্যবিশিষ্ট। তবে শুরু থেকেই একটি পক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘এনজিওশাসিত’ সরকার বলে প্রচার করতে শুরু করে। শফিকুল আলম ফেসবুকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এনজিওশাসিত আখ্যায়িত করে অবিরাম প্রচারণা চলছে। কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির মন্তব্যও রয়েছে। তারা এই ধারণাটি প্রচার করছেন যে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ব্যাকগ্রাউন্ডের ব্যক্তির আধিক্য রয়েছে। তবে ২১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের আনুষ্ঠানিক রেকর্ড অনুযায়ী মাত্র চারজন উপদেষ্টার এনজিও ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন শীর্ষ আইনজীবী বলে জানান প্রেস সচিব।
শফিউল আলম তার ফেসবুক পোস্টে জানান, উপদেষ্টা পরিষদে পাঁচজন সাবেক আমলা, দুজন কূটনীতিক ও দুজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাসহ অন্তত ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। প্রেসসচিব বলেন, বাকিদের মধ্যে একজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল, একজন মুক্তিযোদ্ধা, দুজন ছাত্রনেতা, চারজন শিক্ষাবিদ ও লেখক এবং দুজন ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার পথিকৃৎ।