গণঅভুত্থ্যান পরবর্তী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের কোনো জায়গা নেই। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ বাকশালীদের জায়গা নেই। তেমনি আওয়ামী লীগের দোসরদের জায়গা হবে না, হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসুর ভিপি ?নুরুল হক নুরু। গতকাল শুক্রবার বিকেলে রংপুর জেলা স্কুল মাঠে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে এবং বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নুরুল হক নুরু বলেন, আওয়ামী লীগের দোসররা যারা আস্ফালন দেখাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের দোসরদের গ্রেফতার করে রংপুরসহ দেশের মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রয়োজনে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এ ব্যাপারে সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও এই রংপুরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটেনি। কোনো সরকারই তিস্তা মহাপরিকল্পনা করে এই অঞ্চলের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারে নাই। একটা ভালো চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নেই। একটি বিশ্ববিদ্যালয় দিয়ে এই অঞ্চলে কাভার সম্ভব না। এই পিছিয়ে পড়া রংপুরের ৪৭ শতাংশ মানুষই দরিদ্র। অথচ বাংলাদেশের মধ্যে কৃষিতে সম্ভাবনা অঞ্চল এই রংপুর। কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন শিল্পনীতি করে শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। রংপুরের হাড়িভাঙ্গা আম, মিষ্টি কুমড়াসহ ১০টি পণ্য দেশের বাইরে যায়। তাই কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্পের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে এগিয়ে নিলে পুরো দেশ উপকৃত হবে। সাবেক ডাকসুর ভিপি নুর আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান থাকবে, রাষ্ট্র সংস্কারের পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে। সংস্কার আর নির্বাচনের কার্যক্রম একইসঙ্গে এগিয়ে নেয়া। বিগত ১৫ বছর দেখেছি, ভোটাধিকার হরণ, আইনশৃঙ্খলার অবনতি। তাই গণঅভুত্থ্যান পরবর্তী এই বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলার উন্নতি সাধন করা।
নুরুল হক নুরু বলেন, এই জনসভার আগে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করেছি। তাই রংপুর তথা দেশের মানুষের কাছে আবেদন, আবু সাঈদকে ভুলবেন না। আবু সাঈদের নামে যেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। তাহলে তরুণরা আবু সাঈদকে ধারণ করে এই দেশের নেতৃত্ব দিতে পারে। বিভাগীয় সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য শেরে খোদা আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, গণঅধিকার পরিষদের মোহাম্মদ রাশেদ খান, মুখ্য আলোচক হানিফ খান সজিব, বিশেষ অতিথি কেন্দ্রের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, সহ-দফতর সম্পাদক ইব্রাহীম খোকন, সহপ্রচার সম্পাদক সোহাগ হোসেন বাবু, সদস্য হাজী কামাল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামীন মোল্লা, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।