ষড়যন্ত্র রুখতে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : তারেক রহমান
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। এই ষড়যন্ত্র রুখতে হলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। গণতন্ত্র ফেরাতে এবং সব ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গতকাল শনিবার বিকেল রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া যাবে না। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু সম্ভব না। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। ষড়যন্ত্র রুখতে হলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের স্বার্থে নানা পদক্ষেপ নেয়া হবে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, আগামীতে ইনশাআল্লাহ বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করলে আমরা শহীদ জিয়ার খাল খনন কর্মসূচি শুরু করব। এটি আমাদের শুরু করতে হবে কৃষকের পানির সুবিধার কারণে, রিজার্ভ ওয়াটারের কারণে। পানি লেভেল নিচে নেমে গেছে, এটাও কিন্তু আমাদের বিপদের কারণ। এমন অনেক কারণেই আমাদের খাল খনন করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পানির অভাবে ফসল উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহীদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানির কারণে দুইটি হয়েছিল, দুইটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল।
তারেক রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি, কৃষি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিল্প। এই অবস্থার কী পরিবর্তন হয়েছে? আমার কাছে তা মনে হয় না। আমার কাছে এখনো কৃষি সবচেয়ে বেশি বড়। এই সেক্টরে সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজ করছেন। প্রায় প্রতিটা মানুষ কোনো না কোনোভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত। বিএনপি প্রতিবার কৃষি সমস্যার প্রতি নজর দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সময় পাঁচ হাজার পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিল। ফসলের সিজনে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করত। যার মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। দেশের জনসংখ্যা কমপক্ষে ২০ কোটি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ২০ কোটি জনসংখ্যার জন্য যদি খাদ্য উৎপাদন করতে হয় তাহলে আমাদের কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আর এই বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি করা সম্ভব না। তাই অবশ্যই মৌলিক খাদ্য যেগুলো সেগুলো আমাদের দেশেই উৎপাদন করতে হবে। এজন্য কীভাবে কৃষিজমি বাড়ানো যায়, সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে।