গত বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ের তুলনায় এ বছরের একই সময়ে ১.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বেশি রপ্তানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন। গতকাল রোববার শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। শ্রম অসন্তোষের ফলে রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়েছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইপিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা প্রতি মাসে রপ্তানির ডাটা দিয়ে থাকি, আজকে একটা আপডেট দেয়া হয়েছে। আমাদের ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২.৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ২০২৪ সালের অক্টোবরে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৩ বিলিয়ন ডলার। তার মানে আমাদের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলারের মতো বেড়েছে। তিনি বলেন, গতবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে সার্বিক পণ্য রপ্তানি হয়েছিল ১১.৫ বিলিয়ন ডলারের। ২০২৪ সালের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ১২.৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। সে হিসেবে আমাদের ১.৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বেশি রপ্তানি হয়েছে। আমাদের ২৩ শতাংশ গ্রোথ হয়েছে। আজকে যে ডাটা দিলেন সেটা বিশ্বাস করা যাবে তো, এমন প্রশ্নের জবাবে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এ তথ্য কমপেয়ার করে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের ২১৪০টি কারখানার মধ্যে ২১৩০টি কারখানা চালু রয়েছে। বাকিগুলো কোনোটিই একেবারে বন্ধ হয়নি। দু-একটা কারখানা দুই একদিনবন্ধ থাকে আবার চালু হয়।
শুধু টিএনজেড ও নেক্সাসসহ ৪টি কারখানা বন্ধ। আর বাকিগুলো সব চালু আছে। উদ্যোক্তাদের নানা সমস্যার কারণে বন্ধ থাকতে পারে। আগে তো এর থেকে বেশি বন্ধ থাকতো। ভুয়া ডাটা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ডাটাতে আর কারপুচি হবে না। ভুয়া উন্নয়নে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা কি অবস্থায় আছি সেটা আপনাদেরকে দেখাব। আমাদের পরিসংখ্যান যে বিভাগ আছে তাদের প্রধান উপদেষ্টা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন যেটা বাস্তব সেটাই যেন দেখানো হয়। বাড়িয়ে উন্নয়ন দেখিয়ে স্বপ্নের মধ্যে রাখার কোনো মানে হয় না। আমরা যখন বাস্তবে আছি তখন আমাদের বাস্তবতার কথাগুলো বলতে হবে। সরকারের কাছে মালিকদের কোনো চাওয়া পাওয়া আছে কী না জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. হাতেম আলী বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ব্যাংক। ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের চেক ফেরত দেয়া হচ্ছে। আমাদের ব্যাংকে টাকা আছে কিন্তু ১০-১২টি ব্যাংক থেকে আমরা সম্পূর্ণ অসহযোগিতা পাচ্ছি। আমাদের চেকগুলো ফেরত দেয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকটি কারখানায় কিছু বেতনের ইস্যু ছাড়া আর কোনো বিষয় নেই।