আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, গুজব লীগ দেখছে, রাজপথে তাদের কিছু করার সামর্থ নেই। যখন তারা দেখছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিকেকবোধ সম্পন্ন ছাত্র-জনতা রাস্তায় আছে, তখন মুখ দেখানোর মতো অবস্থা তাদের নেই। এই মুখেই বিগত ১৬ বছরে তারা চুনকালি মেখেছে তারা। গতকাল রোববার রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। সারজিস আলম বলেন, ‘এই গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট তো দূরের কথা, এর আশপাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যেও গুজব লীগ যেন না নামতে পারে।
মাঠে নামা তো দূরের কথা, কোনো জায়গায় বিন্দুমাত্র গুজবের চেষ্টাও যদি তারা করে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবো।’ তিনি বলেন, ‘তাদের জননী নেতাকর্মীদের চুনকালি মাখিয়ে, নিজে মেখে পালিয়েছে। আমার যদি ওইটুকু নৈতিকতা থাকতো, ভালো কাজ করতাম, গার্ড থাকতো, বোল্ডনেস থাকতো, আমি দেশ ছেড়ে পালাতাম না। এই দেশের পুরো ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে নামতো না। সেই জায়গায় তারা নিজেরাই চুনকালি মেখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’ এ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নাৎসি বাহিনীর থেকেও বেশি নৃশংস। বাংলাদেশে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যতদিন পর্যন্ত না বিচার নিশ্চিত হয়, ততদিন পর্যন্ত তাদের প্রকাশ্যে আসার কোনো ধরনের অধিকার নেই।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নৃশংসতা আমরা দেখেছি পিলখানা হত্যাকাণ্ডে, শাপলা চত্বরে। আলেম সমাজের ওপর আওয়ামী লীগের নৃশংসতা দেখেছি। বিএনপি, জামায়াতসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে গত ১৬ বছর গুম, হত্যা নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে।’ শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর জিরো পয়েন্টে গণজমায়েত কর্মসূচির ডাক দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে দুপুর ১২টায় গণজমায়েত করে তারা। এ সময় বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন, সাধারণ ছাত্র-জনতার দেখা মিললেও কর্মসূচি দেয়া আওয়ামী লীগেরই দেখা মেলেনি জিরো পয়েন্টের শহীদ নূর হোসেন চত্বরে। তবে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের সমর্থককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।