ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে সদ্য যুক্ত হওয়া উপদেষ্টা মাহফুজ আলম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, যতদিন জুলাই’র চেতনা উজ্জীবিত থাকবে ততদিন শেখ মুজিবকে আর কোথাও দেখা যাবে না। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে একটি ছবিসহ ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে একটি স্ট্যাটাস দেন। ১ ঘণ্টায় এই পোস্টে ১১ হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে। পোস্টটি প্রায় ১১শ মানুষ শেয়ার করেছেন। পোস্টে মাহফুজ আলম লিখেছেন, দরবার হল থেকে একাত্তর পরবর্তী ফ্যাসিস্ট শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার যে ৫ আগস্টের পর বঙ্গভবন থেকে আমরা তার ছবি সরাতে পারিনি। এর জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু যতদিন মানুষের মধ্যে জুলাই’র চেতনা উজ্জীবিত থাকবে ততদিন তাকে আর কোথাও দেখা যাবে না। তিনি আরো লিখেছেন, ৭২’ এর অগণতান্ত্রিক সংবিধান থেকে দুর্ভিক্ষ, শত শত কোটি টাকা পাচার, ভিন্নমতাবলম্বী এবং বিরোধীদের বিচারবহির্ভূত হত্যা (৭২-৭৫, ২০০৯-২০২৪), শেখ মুজিব এবং তার মেয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে যা করেছে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই তা স্বীকার করতে হবে এবং এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। তারপর আমরা একাত্তর পূর্ববর্তী শেখ মুজিবকে নিয়ে আলোচনা করতে পারি। ক্ষমাপ্রার্থনা এবং ফ্যাসিস্টদের বিচারের আগে তাদের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই। এদিকে গত রোববার সন্ধ্যায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারে যুক্ত হন নতুন তিন জন উপদেষ্টা। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। নতুন করে যুক্ত হওয়া তিন উপদেষ্টার মধ্যে রয়েছেন মাহফুজ আলম। তবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে এখনো কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়নি। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন। তার বাড়ি লক্ষ্মীপুর উপজেলার রামগঞ্জ উপজেলার ইসাপুর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। এ ছাড়া ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির তাত্ত্বিক নেতা হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ছাত্রশক্তির নেতারাই ছিলেন শুরু থেকে। এর আগে গত ২৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. মাহফুজ আলমকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।