তরুণ ছাত্র সমাজের দেখানো পথেই নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, কেবল বন্দুকের জোরে ১৫ বছর সবাইকে দমিয়ে রেখেছিল স্বৈরশাসক হাসিনা। তবে নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তাদের পতন হয়েছে। এখন এই তরুণ প্রজন্মের দেখানো পথেই নতুন দেশকে গড়ে তুলতে হবে। গতকাল সোমবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জুলাই বিপ্লবে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেয়া, আর্থিক সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ একত্রে কাজ করতে চায়, এমন বক্তব্য হাস্যকর দাবি করে মঈন খান বলেন, বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ একত্রে কাজ করতে চায়, এমন কথা হাস্যকর। আওয়ামী লীগ কাপুরুষের মতো আত্মসমর্পণ করেছে। মুখোশধারী হয়ে তারা যাতে এদেশে আবার ফিরে আসতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কাপুরুষের মতো আত্মসমর্পণ করেছে। এখন বাংলাদেশের মানুষের অধিকারের আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা দেয়া। এছাড়া তরুণ চিকিৎসকদের দেশের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান বিএনপির অন্যতম এ নীতিনির্ধারক।
এ সময় ড. মঈন খান জুলাই বিপ্লবে আহত হয়ে চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন। তিনি আহতদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি তাদের আর্থিক সহায়তা দেন। অন্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ, মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, চক্ষু বিজ্ঞানে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী, উপ-পরিচালক ডা. সোহেল, আহতদের চিকিৎসক সমন্বয়ক ডা. জাকিয়া সুলতানা নীলা প্রমুখ।