অর্থনীতির গতি ফিরলেও মানুষের কষ্ট কমেনি : মান্না

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেয়ার পর দেশের অর্থনীতির গতি কিছুটা ফিরলেও মানুষের কষ্ট কমেনি বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারে আওয়ামী সুবিধাভোগীদের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ সভার আয়োজন করে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’। সভায় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ড. ইউনূস আছেন বলে আমাদের অর্থনীতির গতি ফিরছে। আগের সরকারকে (আওয়ামী লীগ) কেউ বিশ্বাস করতো না। বিদেশ থেকে কেউ টাকা দিতো না। দিলেও সেটা ব্যাংকে দিতো না। চুরি করে দিতো। ফলে রিজার্ভে প্রভাব পড়তো না। কিন্তু এখন আমাদের ব্যাংক আগের চাইতে ভালো হচ্ছে। তবে জিনিসের দাম কমছে না। জনগণের কষ্ট কমেনি। মানুষের দুর্দশা কমেনি।

তিনি বলেন, এই সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে, গণতন্ত্রের জন্য একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনব্যবস্থা করা। দ্রুত নির্বাচন দেয়ার চেষ্টা করুন। সংস্কার বলেন, যাই বলেন, তা এই সরকার চাপিয়ে দেয়ার অধিকার রাখে না। ধান্দাবাজ লোকদের আপনি উপদেষ্টা বানাবেন, ধান্দাবাজ লোকদের বড় বড় অফিসার বানাবেন, সেটা করলে হবে না। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, আমরা দিন দিন বেশ বড় ধরনের সংকটের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। কত আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মানুষ ড. ইউনূসকে প্রস্তাব করে, বিদেশ থেকে ডেকে এনে সংবর্ধনা দিয়ে দায়িত্ব দিলো। উনি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারলেন না। ওনাকে সবাই বলে বড় পারফর্মার। কিন্তু ক্ষমতা নেয়ার পর এই ১০০ দিনের মধ্যে আমাদের মধ্যে বা মানুষের মধ্যে তেমন আশার সঞ্চার করতে পারেননি।

ড. ইউনূসের উদ্দেশে মান্না বলেন, কিরকম করে এই দুইজন মানুষকে (উপদেষ্টা) নিলেন? কার বুদ্ধিতে নিলেন? এই সরকার কোনো প্রশ্নের জবাব দেয়ার প্রয়োজন মনে করে না। এই দুইজন মানুষ কী করে উপদেষ্টা পরিষদে আসল? কারা তাদের নাম বললো? তাদের নাম কী করে আসল? আমাদের দেশে উপদেষ্টা নিয়োগ হয় কীভাবে? একমাত্র প্রধান উপদেষ্টা সে ব্যাপারে চূড়ান্ত কথা বলতে পারেন। আমি জানতে চাই, কার পরামর্শে এই দুইজনকে (মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও সেখ বশির উদ্দিন) উপদেষ্টা পরিষদে নেয়া হয়েছে? কী বিবেচনায়? এই সরকারকে আমি দ্বিধান্বিত দেখি। ফ্যাসিবাদের পরাজয় করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র কিরকম করে রাখবেন? গণতান্ত্রিকব্যবস্থা কিরকম প্রতিষ্ঠা করবেন? একটা ভালো নির্বাচন কিরকম ভাবে করবেন? এমন কোনো স্পষ্ট ধারণা আমাদের দিতে পারেননি। কোনো কথাও বলেননি।

‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের’ সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, গণফোরামের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।