খাদ্য নিশ্চিত করতে ওএমএস চালু রাখবে সরকার
প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকার দেশে সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস)-এর আওতায় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ চালু রেখেছে। খাদ্য সচিব এম মাসুদুল হাসান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে চলতি বছরের আগস্ট থেকে তিন মাসের কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওএমএস কর্মসূচির আওতায় খাদ্য বিতরণ চলছে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় এখন সারাদেশে মোট ১ হাজার ১৩৩টি বিক্রয় কেন্দ্র থেকে খাদ্যদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় পরিচালিত ওএমএস কার্যক্রম চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে। তবে ট্রেডিং কর্পোরেশন বাংলাদেশ (টিসিবি) পরিচালিত ওএমএস অব্যাহত থাকবে বলে সচিব জানান। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় একজন লোক সপ্তাহে ৩০ টাকা দরে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল এবং ২৪ টাকা দরে পাঁচ কেজি খোলা আটা পাচ্ছেন। এই কর্মসূচির আওতায় রাজধানী ঢাকার মানুষ সপ্তাহে ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি চাল এবং ৫৫ টাকায় দুই কেজি ওজনের দুই প্যাকেট আটা কিনতে পারবেন। একই সময়ে, খাদ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকার ওএমএস নীতি-২০১৫ এবং খাদ্যবান্ধব নীতি-২০১৭ সংশোধন করেছে।
সচিব বলেন, খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার চাল ও ধানের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে অনলাইন মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ধান ও ধানের বাজার মূল্যের উপর সঠিক সময় পর্যবেক্ষণের একটি ধারণা তৈরি করেছে, এর উদ্দেশ্য ধান উৎপাদনকারী জেলার গুরুত্বপূর্ণ হাটবাজার থেকে পাইকারি মূল্যে চাল ও ধান সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। ধান ও চালের পাইকারি মূল্যের একটি কেন্দ্রীয় ডাটাবেস তৈরি করতে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ ধান-চালের বাজার থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে একটি মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি খাদ্য সচিব বলেন, সরকার ইতোমধ্যে বেসরকারি খাতের চাল আমদানির ওপর থেকে সব শুল্ক তুলে নিয়েছে এবং অগ্রিম আয়কর পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই শতাংশ করা হয়েছে।
সরকার এক মাসের মধ্যে বেসরকারি খাতকে ৩ লাখ ২৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে, এরই মধ্যে ৫৯টি চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অনুমোদন পেয়েছেন। এতে মোট ২ লাখ ৪৭ হাজার টন সিদ্ধ ও ৮০ হাজার টন আতপ চাল। অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) এম. হাবিবুর রহমান হোসাইনী জানান- খুচরা বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় প্রতি বছর পাঁচ মাসের জন্য গ্রামীণ এলাকার ৫০ লাখ পরিবারের প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। কর্মসূচির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকার ভোক্তাদের একটি ডাটাবেস তৈরি করেছে। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণ সুবিধা প্রকল্পের আওতায় বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সরকার খাদ্য মজুত ক্ষমতা জোরদার করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের অধীনে, বিদ্যমান ১৩ লাখ টন থেকে প্রায় ১৮ লাখ টন মজুত ক্ষমতা বাড়াতে সাতটি আধুনিক ইস্পাতের সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। সূত্র: বাসস