ঢাকা ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকা মহানগরে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ

হাইকোর্টের নির্দেশ
ঢাকা মহানগরে তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ

সড়কের বিশৃঙ্খলা এবং বেপরোয়া চলাচল বাহনের নাম ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা’। এবার ঢাকা মহানগর এলাকায় আগামী তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিআরটিএ সূত্রে জানা যায়, ব্যাটারি বা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলারের কারণে ঢাকা নগরীতে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করে ঢাকায় ফিটনেসবিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। জানা গেছে, এসব রিকশা রাস্তায় কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা তো করেই না, বরং যত্রতত্র পার্কিংসহ উচ্ছৃঙ্খলভাবে চলাচল করে। যা প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। গত কয়েক মাসে ঢাকা শহরে এই রিকশা এতো বেড়েছে যে, যা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অটোরিকশাগুলোর বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই, রাস্তায় চলাচলের পারমিশনও নেই। তারপরও প্রতিদিন রাস্তায় বেড়েই চলেছে এই অবৈধ অটোরিকশা। তথ্য মতে, রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলাচল করে। তবে কারো কারো মতে এই সংখ্যা আরো অনেক বেশি। এই রিকশাগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যাটারিচালিত। এছাড়া পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ এসব বাহনের দৌরাত্ম্য। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর মূল সড়কের চেয়ে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। যার ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। বেপরোয়া গতিতে চলাচল করায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। সুযোগ পেলে মূল সড়কেও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। রাজধানীর খিলগাঁও, মুগদা, মান্ডা, বাসাবো, সিপাহীবাগ, মাদারটেক, মানিকনগর, যাত্রাবাড়ি, রামপুরা, বনশ্রী, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এসব এলাকায় দিন দিন এই অটোরিকশার পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে বলে এলাকার সাধারণ মানুষ জানায়। শুধু তাই নয়, এলাকাগুলোতে অটোরিকশা ব্যবসায়ীর সংখ্যাও বেড়েছে। যে কেউ ইচ্ছামতো অটোরিকশা বানিয়ে বিক্রি করতে পারছে। কারণ কোনো রকম কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় না। জানা গেছে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এসব অটো রিকশার সংখ্যা বেড়েছে। অলিগলি থেকে মূল সড়কে এর দাপটও বেড়েছে। তাই সড়কের শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য এসব অবৈধ অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি বলে অনেকে অভিমত দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত