গত ১৫ বছর বিচার বিভাগ ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে
বললেন আলী রিয়াজ
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিচার বিভাগ গত ১৫ বছর ধরে ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে, মন্তব্য করেছেন সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান আলী রিয়াজ। ‘স্বৈরশাসকদের উত্থানের পথরেখা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের আয়োজনে সিরাজুল ইসলাম লেকচার হলে এই বক্তৃতাটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আশফাক হোসেন এবং অন্যান্য অতিথি।
স্মারক বক্তৃতায় আলী রিয়াজ বলেন, শেখ হাসিনার ব্যক্তিকেন্দ্রিক শাসনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রচেষ্টা ছিল বিচার বিভাগ, যা গত ১৫ বছর ধরে কার্যত ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি আরও বলেন, বিচার বিভাগের এই ভূমিকা দেশের সংবিধান এবং শাসনব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি কল্পিত ব্যাখ্যা শোনা যায়, যা প্রকৃত বিচারে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সাম্য, মানবিক মর্যাদা, এবং সামাজিক সুবিচারের বিপরীত। আলী রিয়াজ যোগ করেন, জাতীয়তাবাদের নামে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়েছে, এবং বাংলাদেশে নাগরিকদের আত্মপরিচয়ের যে সম্পর্ক, তা অতি সরলীকৃত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার শাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ব্যক্তি বন্দনা, যার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে শেখ মুজিব। শেখ মুজিবকে কেবল আইনি ব্যবস্থার বাইরে তুলে ধরা হয়নি, তার চারপাশে নতুন ইতিহাসও তৈরি করা হয়েছে, যা তাকে এক ধরনের কাল্ট ফিগারে পরিণত করেছে। বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনজন এমফিল এবং চারজন পিএইচডি ডিগ্রি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে মির্জা বানু ও সিরাজুল ইসলাম এনডোওমেন্ট ফান্ডের আওতায় বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমাদের ছাত্ররা নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে তাদের অর্জন নিয়ে এগিয়ে যায়, এ ধরনের বৃত্তি তাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, তরুণরা বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে কাজ করবে। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আশফাক হোসেন এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।