তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণমাধ্যমে হামলা ভাঙচুর হলে সেটা আমরা মেনে নেবো না। অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, বিগত সময়ে গণমাধ্যমের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল। মানুষের মনেও নানা কারণে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেটা স্পষ্ট করা সেই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গতকাল দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি দ্যা ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর অফিসের সামনে আন্দোলন ও হামলা চালানো হয়েছে সেটা গণমাধ্যমের জন্য হুমকি কী না? সেক্ষেত্রে আপনারা কি ধরনের পদক্ষেপ নেবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, গতকাল বলেছি ল অ্যান্ড অর্ডারের সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে সে জায়গা থেকে সরকার ভূমিকা পালন করবে। পত্রিকা অফিসে ভাঙচুর হলে সেটা অবশ্যই আমরা আইনগতভাবে দেখবো। তিনি বলেন, বিগত সময়ে কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া গণমাধ্যমগুলো মানুষের সঙ্গে সংলাপে বসে বিষয়টি স্পষ্ট করা তাদের দায়িত্ব। তবে সরকার তার ভূমিকা যেটা আছে সেটা পালন করবে। গণমাধ্যমে হামলা ভাঙচুর হলে সেটা আমরা মেনে নেবো না। পাশাপাশি জনগণ সভা-সমাবেশ করলে শান্তিপূর্ণভাবে করবে সে আহ্বান জানিয়েছি। একই সঙ্গে পুলিশ যাতে দায়িত্বশীল আচরণ করে, শান্তিপূর্ণভাবে গণ সমাবেশ করতে দেয় আমরা সেই নির্দেশনা দিয়েছি। গণমাধ্যমের ওপর যে বিক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে সেটা কি ষড়যন্ত্রের একটা অংশ কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এটা যারা আন্দোলন করছে তারাই ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করেন। তারা কেন বিক্ষোভ প্রকাশ করছে, এটা চিহ্নিত করা উচিত। এ জন্য লাঠি পেটা করে সরিয়ে দেয়া উচিত নয়। তাদের সাথে কথা বললেই স্পষ্ট হয়ে যায়। নাহিদ ইসলাম বলেন, একটা মিথ্যা খবর গুজব অনেক বড় ঘটনার জন্ম দিতে পারে। সেই জায়গায় গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করছি। এই সরকার কোনো দলীয় সরকার নয়, তাদের নিজস্ব কোনো প্রচার মাধ্যম নেই। ফলে আমরা গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের নিজস্ব কোনো কর্মী বাহিনী নেই বা গণমাধ্যম নেই তারা বর্তমান সরকারের কার্যক্রম প্রচার করবে। সে জন্য আমরা গণমাধ্যমের কাছে সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।