পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা খুবই কঠিন কাজ
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
বিদেশে পাচার হওয়া টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনা খুবই কঠিন কাজ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ১০০ ভাগের মধ্যে ১ শতাংশ হয়তো ফেরত আনা সম্ভব হতে পারে। পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ২৭ নভেম্বর রাতে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, কোন দেশে টাকা পাচার হয়নি। আমি খুব খোলামেলা কথা বলি, বিভিন্ন দেশের দায়িত্বশীলদের বলেছি, বাংলাদেশ থেকে বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি নেয়ার আইন নেই। ফলে যে যে দেশে টাকা গেছে সবই বেআইনি। আপনারা (বিদেশি প্রতিনিধি) জানেন সেটা, তারপরও আপনারা সেসব টাকা অ্যালাউ করছেন। বেশ কয়েকটা দেশ বিষয়টি স্বীকার করেছে, তারা বলেছে, বাংলাদেশ থেকে স্পেসিফিক ব্যক্তি তথ্য দিলে তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেবে। আমরা সেই তথ্য দেয়ার কাজ করছি। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু টাকা ফেরত আনাতে লিগ্যাল প্রসেস আছে। টাকা ফেরত আনা খুবই কঠিন কাজ। ১০০ ভাগের মধ্যে হয়ত ১ শতাংশ ফেরত আনা সম্ভব হতে পারে। প্রবাসীরা বাংলাদেশে পর্তুগালের দূতাবাস স্থাপনের বিষয়ে দাবি জানালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই দাবির বিষয়ে পর্তুগাল সরকারকে জানানো হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, পর্তুগালের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে বৈঠকে ভিসা জটিলতা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা হয়েছে। দূতাবাস বা কনস্যুলার সেবা চালুর ক্ষেত্রে অনেক রাষ্ট্রীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। মতবিনিময় সভাটি প্রবাসীদের সঙ্গে দূতাবাসের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ করার পাশাপাশি তাদের দাবি আদায়ে একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রেজিনা আহমেদ, পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতা রানা তসলিম উদ্দিন, বনফিম পেরিশ কাউন্সিলের সদস্য শাহ আলম কাজল, পর্তুগাল বাংলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সভাপতি রাসেল আহম্মেদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধি ও প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।