পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে গ্লোবাল প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন চলছে। গ্লোবাল ক্যাম্পেইনটা চলছে একটা বিশেষ গোষ্ঠীর কারণে। গতকাল সোমবার বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন তিনি। বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিং শেষে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এটা ভুলে গেলে চলবে না যে একটা বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যুতে গ্লোবাল প্রোপাগান্ডা ক্যাম্পেইন চলছে। সবাই পার্টিসিপেট করছে তা না। কিন্তু গ্লোবাল ক্যাম্পেইনটা চলছে একটা বিশেষ গোষ্ঠীর কারণে। চেষ্টা করছে সব জায়গায় হিট করার। এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটাও মেনে নিতে হবে তাদের রিচ আমাদের তুলনায় বেশি, আমাদেরকে তাদের মোকাবিলা করতে হবে। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রসঙ্গে কূটনীতিকদের কি জানিয়েছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, চিন্ময় ব্রক্ষ্মাচারীর বিষয়টি ব্রিফিংয়ে উল্লেখ করেছি। কি পরিস্থিতিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালত তাকে জামিন না দেয়ায় তারা যে বিশৃঙ্খলা করেছে সেগুলো বলেছি। তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলেই তারা প্রতিবাদ করতে পেরেছে। আমাদের যে অবস্থান সেটি তাদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি। যেটা অবশ্যই তারা তাদের দেশে জানাবে।
সীমান্তে ভারতীয় প্রতিবাদকারীরা বাংলাদেশের বর্ডারে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, সেটিকে কিভাবে দেখেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, এটাকে আমি একটা প্রভোকেশন হিসাবেই দেখি। প্রভোকেশন দেয়ার মতো লোকজন তো আছে, সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি। এটাকে প্রভোকেশন হিসেবে ততোক্ষণ দেখব যতোক্ষণ না তারা বর্ডার অতিক্রম করতে সক্ষম হয়। বিএসএফ তাদের সেখানে থামাতে সক্ষম হয়েছে। প্রোটেস্ট তারা করতেই পারেন, তাদের দেশের আইনও সেটাকে অ্যালাউ করে। তবে বর্ডার পার হওয়া মানে আইন ভঙ্গ করা। সেটা তারা ব্যবস্থা নিবেন। ধর্মীয় সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে অপপ্রচার নিয়ে ঢাকায় বিভিন্ন মিশনে দায়িত্বরত বিদেশি কূটনীতিকদের সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, জাপান, রাশিয়া, ইতালি, কানাডা, মরোক্কো, দ. কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মিয়ানমার, আলজেরিয়া, ইরান, মালদ্বীপ, লিবিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, তুরস্ক, চীন, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।