বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, আমরা আমাদের আলোচনা চলমান রাখবো, আজকের বৈঠক তেমনই একটি বিষয়। আমাদের বিস্তৃত সম্পর্ক রয়েছে, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। আমরা একটি ইস্যু দিয়ে সেটি মূল্যয়ন করতে পারবো না। আমাদের পরস্পরনির্ভর বিষয় রয়েছে। যেটি দুদেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে তলবের প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যান তিনি। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব এম রিয়াজ হামিদুল্লাহর দপ্তরে তাকে তলব করা হয়। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার এ কথা বলেন। প্রণয় ভার্মা বলেন, সর্বশেষ দুই মাসে আমাদের পরস্পর সহযোগিতার জন্য ইতিবাচক কিছু উন্নয়ন হয়েছে। আমাদের অনেক ইতিবাচক বিষয় রয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সামনে অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করে যাবো। এর আগে ২ ডিসেম্বর সোমবার বেলা দেড়টার দিকে ভারতের আগরতলার কুঞ্জবনে অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। গত সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্য চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হয়। এই প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরের সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরিতাপের বিষয়, প্রাঙ্গণ (হাইকমিশনের) রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না’, উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা ওই দেশের সরকারের দায়িত্ব, তাই ভারত সরকারকে এ ধরনের ঘটনা মোকাবিলায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ সরকার।
পাশাপাশি, এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত, ভারতে বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনের বিরুদ্ধে আর কোনো সহিংসতা প্রতিরোধ করা এবং কূটনীতিক ও অ-কূটনৈতিক সদস্যদের নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।