ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি নামের একটি সংগঠন। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ভারতীয় দূতাবাস এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ভারতীয় দূতাবাসে প্রবেশের বিভিন্ন রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিশেষ করে রাজধানীর শাহজাদপুর বাঁশতলায় ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখা গেছে। বাঁশতলা থেকে ভারতীয় দূতাবাসগামী রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগ। দূতাবাসের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু সংঘর্ষ সমিতিসহ কয়েকটি সংগঠনের সমর্থকেরা এই হামলা চালান। এর প্রতিবাদে এই ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বাঁশতলা থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখী রাস্তায় কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা পরিচয় দিয়ে চলাচল করতে পারছেন।
গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) তারেক মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, আগরতলায় যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ সিভিল সোসাইটি নামে একটি সংগঠন আজ বেলা দুইটার দিকে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও করার কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। দূতাবাস এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দূতাবাস এলাকায় বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
পুলিশ আরো জানায়, গতকাল সোমবার রাত থেকে ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি বিভাগ। ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে হামলার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।