ঢাকা ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই

রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির শোক
উপদেষ্টা হাসান আরিফ আর নেই

অন্তর্বর্তী সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এএফএম হাসান আরিফ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে মারা যান তিনি। ল্যাবএইড গ্রুপের পাবলিক রিলেশন অফিসার চৌধুরী মেহের-এ-খোদা তা নিশ্চিত করেন। একান্ত সচিব (পিএস) মো. নাছির উদ্দিন বলেন, স্যার শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন, জ্বরও ছিল। দুপুরে খাবার টেবিলে চেয়ার থেকে পড়ে যান তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিমান ও পর্যটন এবং ভূমি উপদেষ্টা এএফএম হাসান আরিফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। শোক জানান উপদেষ্টা মন্ডলীর উপদেষ্টারা এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ। রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের পাঠানো শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, তার মৃত্যু বাংলাদেশের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।

রাষ্ট্রপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার বিকালে দুবাই থেকে তাকে বহনকারী একটি বিমান ঢাকায় অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুর খবর জানতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। খবর পেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। শোক বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তার (হাসান আরিফ) আকস্মিক মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। উপদেষ্টা হাসান আরিফ একজন শীর্ষ আইনজীবী ছিলেন, যিনি অন্তর্বর্তী সরকারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।’

এএফ হাসান আরিফ ১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর স্নাতক এবং এলএলবি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা হাইকোর্টে ১৯৬৭ সালে আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ঢাকায় এসে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ শুরু করেন।

এএফ হাসান আরিফ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পরামর্শ, নির্মাণ সালিশ, বাণিজ্যিক সালিশ, অর্থ, ব্যাংকিং এবং সিকিউরিটিজ বিষয়, করপোরেট, বাণিজ্যিক ও ট্যাক্সেশন বিষয়, সাংবিধানিক আইন বিষয়, পাবলিক আস্বাদন, আরবিট্রেশন এবং বিকল্প বিরোধ সমাধানের অন্যান্য পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন। এএফ হাসান আরিফ ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ভূমি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত