বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি রাত ১১টায় লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, কাতার এয়ারওয়েজের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে খালেদা জিয়া লন্ডন যাবেন। বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাতজন চিকিৎসকসহ ১৫ জন সফরসঙ্গী থাকছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- বেগম খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. মো. এনামুল হক চৌধুরী, তাবিথ মোহাম্মদ আওয়াল, ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিক, মো. শাহাবুদ্দীন তালুকদার, নুরুদ্দীন আহমাদ, মো. জাকির ইকবাল, মোহাম্মদ আল মামুন, শরিফা করিম স্বর্ণা, চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এবিএম আব্দুস সাত্তার, মো. মাসুদুর রহমান, এসএম পারভেজ, ফাতেমা বেগম এবং রুপা শিকদার। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রার যাবতীয় প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার সফরকে নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সফরে বেগম খালেদা জিয়া ভিআইপি প্রটোকল পাবেন।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে তিনটি দেশে নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। প্রথমে লন্ডন পরে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় যেতে হতে পারে। এছাড়াও সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করবেন বেগম খালেদা জিয়া। সবমিলিয়ে প্রায় এক মাস বিদেশ অবস্থান করবেন তিনি। এজন্য যাবতীয় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এর আগে, ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডন যাত্রা করে একাধিক মামলার পরোয়ানা মাথায় নিয়ে ওই বছরের ১৮ অক্টোবর দেশে ফেরেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিনি যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন। পরে ২০২০ সালের মার্চে তৎকালীন আওয়ামী সরকার নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে বেগম জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেয়। প্রতি ছয় মাস পরপর তার সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে পরদিন (৬ আগস্ট) বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা খালেদা জিয়ার স্থায়ী মুক্তির আদেশ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।