বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষ নির্দ্বিধায় সরকারকে সহযোগিতা করছে এবং তাদের (মুহাম্মদ ইউনূস) সিদ্ধান্তগুলো আরও বলিষ্ঠ, যুগোপযোগী ও দ্রুত হওয়া উচিত। তিনি সতর্ক করে বলেন- যদি তা না হয়, তাহলে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে থাকা স্বৈরাচারের দোসররা ফণা তোলার জন্য তৎপর হবে। তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য চেষ্টা করে যাবে। কাজেই, তাদের নিষ্ক্রিয় করতে হলে তাদের চিহ্নিত করে প্রশাসন ও সমাজ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। গতকাল বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভাটি জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির এই নেতা আলোচনা সভায় ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা: প্রেক্ষিত টেক্সটাইল সেক্টর’ শীর্ষক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। সভাটির আয়োজন করেছিল জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (জেটেব)। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাহিদ বলেন, দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা বুঝতে চেষ্টা করুন, তাদের অধিকার দ্রুত ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করুন। তবেই মানুষ আপনাদের সাদুবাদ জানাবে এবং ইতিহাস আপনাদের সমর্থন করবে। তিনি বলেন, যদি তা না হয়, তবে ইতিহাস আপনাদের ভুলে যাবে। যেমনটি হয়েছে- লক্ষণ সেনের ক্ষেত্রে, ইতিহাস তাকে ধারণ করেনি। পতিত স্বৈরাচাররা পালিয়ে গেছে এবং তাদের শাসনব্যবস্থা আর কখনো ফিরে আসেনি। হিটলারও ফিরে আসেনি, তার বংশধররাও ফিরে আসেনি। তাই স্বৈরাচারের শাসনব্যবস্থার ফিরে আসার সম্ভাবনা বাংলাদেশে নেই। জাহিদ হোসেন বলেন, আজ যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের শপথে আমাদের একত্রিত থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ থাকলেই আমরা সফল হবো, আর ঐক্য ভাঙার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে। ৫ আগস্ট জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল বলেই স্বৈরাচার পালিয়েছে। তিনি আরও বলেন, যদি জাতি ঐক্যবদ্ধ শক্তি প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হতো, তাহলে সবাই আমাদের ব্যর্থতা হতো। তাই ঐক্য ধরে রাখতে হবে এবং এর জন্য প্রয়োজন হলো, আমাদের কমন শত্রু চিহ্নিত করা। জনগণকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার সুযোগ দিতে হবে। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে যে, দেশ কোন পথে যাবে এবং আগামী দিনের বাংলাদেশ কেমন হবে। এই আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদ এবং জেটেবের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভার সভাপতিত্ব করেন জেটেবের সভাপতি ফখরুল আলম।