ঢাকা ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেউলিয়া থাকা ব্যাংকগুলো

রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে
ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেউলিয়া থাকা ব্যাংকগুলো

ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ২০ বিলিয়নের ওপরে উঠেছে। অর্থপাচার কমে যাওয়া, রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়া এবং ডলার বিক্রি বন্ধ করায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। একইসঙ্গে অর্থনীতি ইতিবাচক ধারায় ফেরায় দেউলিয়া হওয়ার পথে থাকা ১০টি ব্যাংক এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল শনিবার টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা অডিটরিয়ামে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ৪০০তম শাখা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে কতগুলো সংকট ছিল। বৈশ্বিক বাণিজ্য আমাদের বিশাল ঘাটতি ছিল। রিজার্ভের পতন হচ্ছিল। এই জায়গা থেকে আমরা অনেকটুকু বের হয়ে এসেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ আর কমছে না। তিনি বলেন, গত আগস্ট মাসের পরে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো ডলার বিক্রি করেনি। কাজেই আমাদের রিজার্ভ কমবে না, বাড়বেই। রেমিট্যান্সের বিরাট প্রবাহ পরিবর্তন হয়েছে। গত পাঁচ মাসে আমাদের ৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত রেমিট্যান্স এসেছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় অর্থের পাচার কমে গেছে। বাংলাদেশের এখন রিজার্ভ ২০ বিলিয়নের ওপরে রয়েছে। গভর্নর বলেন, প্রথম দিকে বলেছিলাম ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রেক্ষাপট এখন পরিবর্তন হচ্ছে।

তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতের ধস নিয়ে অনেকেই চিন্তিত ছিলেন। সেখান থেকে এখন ব্যাংকগুলো যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে সেটাই বড় বিষয়। এখন আর এগুলো পড়ে যাবে না। একটিকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ অর্থনীতিতে আগাতে পারবে না। রাষ্ট্রের অর্থনীতি পুনর্গঠন করতে হলে এই ব্যাংকিং খাতকে পুনর্গঠন করতে হবে। সব মিলিয়ে ইসলামী ব্যাংক এখন শীর্ষেই অবস্থান করছে এবং আন্তর্জাতিক মানে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। ইসলামী ব্যাংকিং খাতকে আরো সুসংগঠিত করতে হবে। যারা অর্থ নিয়ে পালিয়েছে সেই অর্থ কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, সে চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, ‘পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে চেষ্টার শেষ নেই আমাদের। দেরিতে হলেও এটার সাফল্য আসবে। ব্যাংকের ও সরকারের ওপর আস্থা রাখবেন। এখান দুর্নীতি নেই, উচ্চপর্যায়েও দুর্নীতি নেই এবং থাকবেও না। সরকারের প্রত্যেক ব্যক্তি সৎ এবং তারা ভালোভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠানে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ মাসুদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, ইনডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্ট মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত