ঢাকা ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম

ট্রাইব্যুনালে বিচার ১ বছরের মধ্যে শেষ হবে

ট্রাইব্যুনালে বিচার ১ বছরের মধ্যে শেষ হবে

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত ‘টপ কমান্ডার’ বা শীর্ষ অপরাধীদের বিচার করা হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রধান অভিযুক্তদের সবার বিচারই প্রায় আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করা হবে। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ নিয়ে দুই দিনব্যাপী সংলাপের দ্বিতীয় দিন গতকাল ‘গুমণ্ডখুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক প্রথম অধিবেশনে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, দেশের ৫৬ হাজার বর্গমাইলের সর্বত্র এই মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল। এর সঙ্গে গোটাবাহিনীর অধিকাংশ অফিসারকে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

চিফ প্রসিকিউটরকে এই অধিবেশনের সঞ্চালক সাংবাদিক মনির হায়দার প্রশ্ন করেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যে সক্ষমতা আছে, তা গণহত্যা, গুমণ্ডখুনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের এত বড় পরিধির বিচারের জন্য কি যথেষ্ট?

জবাবে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, এই ট্রাইব্যুনালের ১০ জন প্রসিকিউটর এবং ১৭ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা আছেন। তাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে গুম, গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ বাংলাদেশের মাটিতে হয়েছে, সেই অপরাধের যারা মাস্টারমাইন্ড (মূল হোতা) যারা একদম সর্বোচ্চ জায়গায় বসে থেকে অপরাধগুলো সংঘটিত করেছিলেন প্রাধান্য দিয়ে তাদের বিচার করা। সেই ক্ষেত্রে এই ট্রাইব্যুনাল হাজার হাজার মানুষের বিচার করতে পারবে না এবং সেই লক্ষ্যে অগ্রসরও হচ্ছেন না তারা।

সারা দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন রাজনৈতিকভাবে সম্পৃক্ত ছিল। এর সঙ্গে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অধিকাংশ কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা ছিল। দেশব্যাপী সবকিছুর বিচার করতে গেলে এই ট্রাইব্যুনালের পক্ষে তা সম্ভব নয় বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।

তাজুল ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে সাধারণত টপ কমান্ডারদের বিচার করা হয়। জুলাই-আগস্টের গণহত্যার প্রধান নিউক্লিয়াস ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তার নিচের দিকে কয়েকজন ছিলেন, তাদের বিচারকে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।

তাজুল ইসলাম আরো বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তারা তাদের বিচার শেষ করতে চান। সেই সক্ষমতা তাদের আছে বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘সেই বিচার করতে কত সময় লাগবে, সেটা সংশ্লিষ্ট আদালত বলতে পারবেন।

তিনি বলেন, সারাদেশব্যপী বিভিন্ন জায়গায় যত অপরাধ হয়ে লেগেছে গ্রাউন্ড ভলে যারা যুক্ত ছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে, আদালতে যে বিচার চলছে সেটা চলমান থাকবে। সেই বিচারগুলো করতে কত সময় লাগবে সেটা সংশ্লিষ্ট আদালত বলতে পারবেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত