ঢাকা ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভোটার হওয়ার বয়স ১৭

বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া

বিশ্লেষকদের প্রতিক্রিয়া

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনীতিকে ভিন্ন মাত্রায় প্রভাবিত করছে। এই আন্দোলনে তরুণ শিক্ষার্থীদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখে গত শুক্রবার রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত দুদিনব্যাপী জাতীয় সংলাপ-২০২৪-এর উদ্বোধনী ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সংখ্যায় বেশি। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা আগ্রহী। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের মতামত নেয়ার জন্য আমি মনে করি ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর নির্ধারিত হওয়া উচিত। তার এই বক্তব্যের পর বিশ্লেষকরা তাদের মতামত দিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বলেন, বিশ্বের কিছু কিছু দেশে ১৭ বছর বা তার কম বয়সেও ভোটাধিকার আছে। এটা একেক দেশ একেক প্রেক্ষাপটে করেছে। আমাদের দেশে ১৮ থেকে এক বছর কমিয়ে ১৭ হতে পারে বলে আমি মনে করি। প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন, আমার বিবেচনায় সেটা হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, জেন জেড-এর যে ডেফিনেশন তাতে ১৭ বছর বয়সিরা তাদের ভালো মন্দের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তারা রাজনৈতিব সিদ্ধান্ত নিতেও সক্ষম বলে আমি মনে করি। তবে ভোটার হওয়ার বয়স সর্বনিম্ন ১৭ বছর বললেই তো হয়ে যাবে না। এটার জন্য সময় লাগবে। সংবিধান ও আইনের পরিবর্তন করতে হবে। এদিকে অধ্যাপক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, গ্লোবালি এখন সবাই ১৮ বছরের নিচে শিশু হিসেবে বিবেচিত। আমাদের দেশেও আইনে যারা ১৮ বছরের নিচে যারা তাদের শিশু মনে করি। তাদের আমরা জেলে নিই না, সংশোধনকেন্দ্রে পাঠাই। বাংলাদেশে ভোটার হওয়া বয়স একটু বেশি হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ এখানে পলিটিক্যাল ডাইনামিকসটা বেশ জটিল। আর প্রার্থীর বয়স কমানোর ব্যাপারেও কথা হচ্ছে। বড় বড় দেশে আমরা ৩০ বছর বা তার কম বয়সেও প্রধানমন্ত্রী হতে দেখেছি। ওইসব দেশে সহজ। কারণ সেখানে সব কিছু সিস্টেমেটিক। ফলে দেশ চালানো সহজ। কিন্তু বাংলাদেশে এত সহজ নয়। এখানে সিস্টেমের সমস্যা আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত