দেশের ভবিষ্যৎ নতুন প্রজন্মের হাতে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। গত বুধবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি বলেন, এই দেশ নতুন প্রজন্মের দেশ। আমরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছি। তারা লেখাপড়া শেষ করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। যারা এখনো পড়াশোনা শেষ করেনি, তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাবে এবং দেশের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নেবে। তারা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে এবং ন্যায়বিচারের পথ তৈরি করবে।
এ দিন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই শ্রদ্ধা নিবেদন আয়োজন করা হয়। মঈন খান বলেন, বিগত দেড় দশকে এক স্বৈরাচারী সরকার জনগণের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র হরণ করেছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দেশে স্বৈরাচারের রূপ প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রের পক্ষে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।
সংস্কারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার কখনো থেমে থাকে না। নির্বাচন হওয়ার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। বিগত তিনটি নির্বাচনে নতুন প্রজন্ম ভোট দেয়ার সুযোগ পায়নি, তারা এখন ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আশা করি, সবার সমন্বয়ে সংস্কারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে। তিনি কোটা আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, কোটা আন্দোলন থেকে শুরু হয়ে সেটা মুক্তির আন্দোলনে পরিণত হয়েছিল। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল স্বৈরাচারি সরকারের বিরুদ্ধে। এটি শুধু গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়, এটি অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও ছিল। সেই আন্দোলনে ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
মঈন খান আরো বলেন, ১৯ জুলাই নরসিংদীতে শেখ হাসিনার মিথ্যা মামলায় কারাগারে থাকা জনতা যখন জেল ভেঙে বের হয়ে আসে, তখন ৩৪ জন নিহত হন, যার মধ্যে ২৪ জন ছিলেন ছাত্র। তারা সকলেই জাতীয়তাবাদী পরিবার থেকে এসেছিলেন। তাদের প্রাণ দিতে হয়েছিল, কারণ তারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাইছিল।
তিনি শেষ করেন, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে এবং মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। ভোটের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
এসময় বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির এবং সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।