দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। আর এই শীত নিবারণে দুস্থদের সরকারিভাবে কম্বল বিতরণ করে আসছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তবে, এবার কম্বল কেনাকাটায় সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়ে স্বয়ং মন্ত্রণালয়। বাধ্য হয়ে, কম্বলের পরিবর্তে তড়িঘড়ি করে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এখন উপজেলা পর্যায়ে কম্বল কিনে দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শীতের মৌসুম সামনে রেখে পরিকল্পিতভাবে আগেভাগেই কম্বল কেনার সব প্রস্তুতিসম্পন্ন করতে নির্ধারিত সময়ের আগেই টেন্ডার ফাইলের অনুমোদন দেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। দ্রুত সময়ে কম্বল কেনার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যেতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় চরম গড়িমসি করা হয়। কারণ হতদরিদ্র শীতার্ত মানুষের মাঝে ঠিক সময়ে যাতে কম্বল পৌঁছাত না হয় সেজন্য পরিকল্পিতভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে বেকায়দায় ফেলানোর চেষ্টা করা হয়। কম্বল কেনাকাটার টেন্ডারে গড়িমসির কারণ জানতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে নোটিশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, সারাদেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কম্বল কেনা ও বিতরণের কাজ করা হয়েছে। কারণ এবার তাদের কাছে কম্বলের পরিবর্তে নগদ টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। আগে বেসরকারি পর্যায়ে শীতবস্ত্র ও অন্যান্য সহায়তা লক্ষ্য করা গেলেও এবার সামাজিক, রাজনৈতিক, মানবিক ও ব্যবসায়ী সংগঠন বড় পরিসরে তেমন উদ্যোগ নেয়নি। এতে সরকারের কম্বলের ওপর একমাত্র ভরসা শীতার্ত মানুষের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দক্ষিণাঞ্চলে জলোচ্ছ্বাস, ঝড়-বৃষ্টি কিংবা বন্যা ঘিরে সরকারের বড় প্রস্তুতি থাকলেও শীতে তা নেই। কারণ, শীতকে সরকারিভাবে ‘দুর্যোগ’ ঘোষণা করা হয়নি। শীত ঘিরে রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিকল্পনা, বাজেট প্রণয়ন কিংবা কোনো নীতিমালাও নেই। ফলে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও হাত গুটিয়ে বসে আছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শৈত্যপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রীয় নীতি ও পরিকল্পনা নেয়া উচিত। শুধু শীতবস্ত্রের মধ্যে সহায়তা সীমাবদ্ধ না রেখে শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত মানুষের খাদ্য সহায়তাসহ নানা প্রণোদনার ব্যবস্থা করা উচিত। কারণ শৈত্যপ্রবাহে দিনমজুর ও দুস্থ মানুষ কাজের জন্য বাইরে বের হতে পারেন না। ফলে সংসার চালাতে হিমশিমে পড়েন। এ মৌসুমে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ১২টি শৈত্যপ্রবাহ ও শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এরই মধ্যে তাপমাত্রা ১০-এর ঘরে চলে এসেছে। এ অবস্থায় শীত মোকাবিলায় প্রস্তুতির ঘাটতি আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, নিম্নমানের কম্বল নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে থাকায় সারাদেশে কম্বল কেনাকাটায় সরকার দরপত্রে বেশকিছু শর্ত দিয়েছে। কম্বলের গুণগতমান নির্ধারণ করে স্পেসিফিকেশন ঠিক করে দেয়া হয়েছে। কম্বলের দৈর্ঘ ৮ ফুট এবং প্রস্থ ৬ ফুট। ডাবল পার্ট, বোথসাইড ব্রাশ, অ্যান্টি পাইলিং, ওজন ২৫০০ গ্রাম এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্যসম্মত হতে হবে। এই শর্ত মেনে যারা কম্বল সরবরাহ করবে, শুধু তারাই যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ফলে শর্তের মারপ্যাঁচে পড়ে কেনাকাটা জটিল হয়ে পড়ে। এতে প্রতি বছর কম্বল কিনতে দেরি হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সরকারি অর্থ লুটপাট ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কম্বল কিনে সারাদেশে শীতার্ত ও দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। সেই একই সিন্ডিকেটকে এবারও কম্বল কেনাকাটার কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য কারসাজি করা হয়েছে। সব আয়োজনও প্রস্তুত করে রেখেছিল কিছু অসাধু কর্মকর্তা। বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বুঝতে পেরে সারাদেশে কম্বলের পরিবর্তে ১৫ কোটি টাকা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মাধ্যমে জরুরিভিত্তিতে কম্বল ক্রয় করে দুস্থদের মাঝে বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেজন্য ৮ বিভাগের ৬৪ জেলার ৪৯৫ উপজেলায় ৩ লাখ টাকা করে ১৫ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কম্বল কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত কিছু অসাধু ব্যক্তির ষড়যন্ত্রে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা প- হয়ে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুস্থদের হাতে যাতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কম্বল তুলে না দিতে পারে সেলক্ষ্যে কলকাঠি নাড়াতে শুরু থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠে একটি চক্র। তারা অযথা সময়ক্ষেপণ করে লক্ষ্য হাসিল করতে চায়। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল অন্তর্বর্তী সরকারকে বিব্রত করা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ আমলে যেসব ঠিকাদার কম্বল কেনাকাটার সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সেই ঠিকাদারকে কাজ পাই দিয়ে সরকারকে বিব্রত করতে প্রথম থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এরই অংশ হিসেবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কম্বল কেনাকাটার টেন্ডার দেয়া হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনাকে ভেস্তে দেয়ার জন্য একটি বিশেষ মহলের ষড়যন্ত্র চলছে। সেই পুরোনো সিন্ডিকেটের কব্জায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, কম্বল কেনাকাটা করতে ১৬ অক্টোবর টেন্ডার ফাইলের অনুমোদন দিয়েছি। স্বাভাবিক সময়ে কম্বল কেনাকাটার টেন্ডারে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ের মধ্যে টেন্ডার কল করা হয়নি, এজন্য শোকজ করা হয়েছে। আমার ধারণা, কম্বল কেনাকাটায় আমাকে চাপে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। কারণ টেন্ডার প্রক্রিয়া দেরি করলে, শেষ মুহূর্তে তড়িতড়ি করে সিদ্ধান্ত দিবো, এতে তাদের চাহিদা পূরণ হবে। কোথায় ১৬ অক্টোবরে টেন্ডার ফাইলের অনুমোদন দিয়েছি, আর সেই টেন্ডার ফাইল ৮ ডিসেম্বর খুলেছে। ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে আরো ১০ দিন লাগবে, প্রকিউরমেন্টের (সংগ্রহ) সিদ্ধান্ত আসতে ডিসেম্বর শেষ হয়ে জানুয়ারিতে পৌঁছাবে। সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে কম্বল পৌঁছাতে জানুয়ারির মাঝামাঝি। মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল- শীত জেকে বসার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের মাঝে কম্বল পৌঁছে দেয়া। সেজন্য কম্বল কেনাকাটার টেন্ডার বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় কম্বল কেনাকাটার জন্য দুই ধাপে ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার নির্বাহী অফিসার সেই টাকা দিয়ে কম্বল কিনে জনগণের মাঝে বিতরণ করবে। তিনি আরো বলেন, টেন্ডারে কম্বলের দাম অবিশ্বাস্য ধরা হয়। সেখানে প্রতিটি কম্বলের দাম সাতশ টাকা ধরা হয়। কিন্তু প্রথমবার কম্বল কেনাকাটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম, তারা প্রতিটি কম্বল ২০০ টাকায় কিনেছেন। সেখানে টেন্ডারে প্রতিটি কম্বলের দাম সাতশ টাকা ধরা হয়েছিল।
কম্বল কেনাকাটার টেন্ডারে গড়িমসিতে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রসঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে অনেক কিছুই আমাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আমরা জানিয়ে দেই। ব্যক্তিগতভাবে আমাকে শোকজ করা হয়নি। আমরা কী কাজ করেছি, মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দিয়েছি। দেশজুড়ে দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণে টাকা বরাদ্দের পাশাপাশি রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জেলায় কম্বল পাঠানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকেও কম্বল দেয়া হয়েছে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
এদিকে গতকাল শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, শীত মোকাবিলায় শীতার্ত ও দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণের জন্য প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল এবং ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৬ লাখ ৭৯ হাজার পিস কম্বল কিনতে ৩৩ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলার ৪৯৫ উপজেলা ও সকল পৌরসভার শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের জন্য এসব টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। শীতের শুরুতেই মন্ত্রণালয় থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৪টি জেলায় শীতার্তদের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যে ১৫ হাজার ২৫০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ দেয়া কম্বল সঠিকভাবে বিতরণ এবং মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেয়া টাকা দিয়ে কম্বল ক্রয়ের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করে জেলা প্রশাসকরা অধিক্ষেত্রাধীন উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা ইতোমধ্যে জরুরিভিত্তিতে কম্বল ক্রয় করে দুস্থদের মাঝে বিতরণ শুরু করেছেন। কম্বল বিতরণ এবং ক্রয়ের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দেশের শীতপ্রবণ এলাকার মধ্যে উত্তরাঞ্চলের গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলা অন্যতম। ওই উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. ইসাহাক আলী আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রথম ধাপের তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই টাকা দিয়ে কম্বল কেনা হয়েছে, প্রতিটি কম্বলের ওজন এক কেজি, যার দাম পড়েছে ৩০০ টাকা। এর মধ্যেই দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কম্বল কেনার বরাদ্দকৃত তিন লাখ প্রক্রিয়াধীন। এছাড়াও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে ১ হাজার ২০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে বণ্টন করা হয়েছে।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বর্তমানে শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষ ভয়ানক কষ্টে আছে। শীতে মানুষ কষ্ট পাবে আর কেউ কেউ শহরে বসে লেপ-কম্বল-জ্যাকেট-সোয়েটার মুড়ে শীত উপভোগ করবে, সেটা অমানবিক। কনকনে শীতে দেশের যেসব জেলার মানুষ কাঁপছে তাদের জন্য পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের ব্যবস্থা করা সবচেয়ে জরুরি কাজ। এ ব্যাপারে সরকার ও প্রশাসনের পাশাপাশি অবস্থাসম্পন্ন মানুষ ও সংগঠনগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। শীতার্ত মানুষকে বাঁচাতে শৈত্যপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণা করা উচিত। তাহলে সে অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা নেওয়া সহজ হবে। এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, শীত কিংবা শৈত্যপ্রবাহকে ‘দুর্যোগ’ ধরা না হলেও আমরা নিয়মিত আগাম তথ্য দিয়ে মানুষকে সতর্ক করছি। যখন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ১ হাজার মিটারের নিচে নেমে আসে, কুয়াশার তীব্রতা বেশি থাকে, তখন সাধারণত আমরা ‘ফগ অ্যালার্ট’ জারি করি। এ ধরনের সতর্কবার্তার মাধ্যমে মূলত যানবাহন চলাচলে বিশেষ সতর্কতা নিতে বলা হয়। তিনি বলেন, আমরা বারবার সতর্ক করলেও শীত মোকাবিলার মতো প্রস্তুতি দেশের মানুষের থাকে না। এ কারণেই মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।