জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে টানাপোড়েন

প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আরিফুল ইসলাম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রকে সামনে রেখে মানুষের মনোভাব জানতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির ঘোষিত দেশব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তবে এ জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ নিয়ে তৈরি হয়েছে টানাপোড়েন। সরকারবিরোধী আন্দোলনে একাট্টা হলেও এক্ষেত্রে বেঁকে বসেছে বিএনপি। যার কারণে বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে গিয়েও পিছু হটেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

জাতীয় নাগরিক কমিটির নির্বাহী কমিটির সদস্য মনিরা শারমিন বলেন, সোমবার জাতীয় নাগরিক কমিটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ঢাকা (বিভিন্ন স্থানে) এবং ঢাকার বাইরে গিয়েছিলেন। ঢাকার বাইরে সব জায়গায় এখনো লিফলেট যায়নি। মঙ্গলবারের মধ্যেই কুরিয়ারে সব জায়গায় লিফলেট চলে যাবে বলে আশা করছি। গণসংযোগ ছাড়াও ঢাকার বাইরে বেশ কিছু জায়গায় কমিটি গঠনের কাজেও নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নেতারা থাকবেন বলে জানান মনিরা।

গত শনিবার বাংলামোটরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণসংযোগ কর্মসূচি দেয়ার কথা জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ওইদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছিলেন, এই কর্মসূচিতে লিফলেট বিতরণ, সমাবেশ এবং বিভিন্ন মাত্রায় জনসংযোগ করা হবে। বাংলাদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা কী? তারা কী দেখতে চায় এ প্রোক্লেমেশনে, সেটা শোনার জন্য আমরা মানুষের কাছে ছুটে যাব, বলেছিলেন তিনি।

সপ্তাহজুড়ে দেশের প্রতিটি জেলায় এ ঘোষণাপত্রের দাবিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় ছাত্র-নাগরিক-কৃষক-শ্রমিক সর্বস্তরে গণসংযোগ চালানো হবে।

বিদায়ী বছরের শেষ দিন গত মঙ্গলবার ‘মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচি’ ঘোষণা করে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। শহীদ মিনারের ওই কর্মসূচি থেকেই ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের কথা ছিল। সেই প্রস্তুতি নিয়ে সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে শহীদ মিনারে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

বলা হয়েছিল, এই ‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ হবে ‘আগামীর বাংলাদেশের ঘোষণাপত্র’। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে এর মাধ্যমে ‘নাৎসি বাহিনীর’ মত ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে ১৯৭২ সালের ‘মুজিববাদী’ সংবিধানের ‘কবর’ রচনা করা হবে।

এই কর্মসূচি নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনার মধ্যে গত রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্ক কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু এক দিনের ব্যবধানে সোমবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে একই ধরনের ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

এরপর গত সোমবার গভীর রাতে জরুরি বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘোষণা দেয়, অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে, তারা তাতেই সমর্থন দেবে।

এরপর নতুন বছরের প্রথম দিন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘জুলাই প্রোক্লেমেশন’ এর খসড়া তৈরির কাজ এখনও শুরু হয়নি। সবশেষ এক সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করা হবে। তবে রাজনৈতিক দলগেুলোর সঙ্গে কবে নাগাদ আলোচনা শুরু তার কোনো দিনক্ষণ বলেননি তিনি।

এদিকে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে কী হচ্ছে? আদৌ সরকার এ ঘোষণা দেবে কি না? হলেও কীভাবে? বিএনপি এটাতে সায় দেবে কি না? এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাধীনতার ঘোষণার একমাস পরে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল একটি ঘোষণাপত্র দেয়া হয়। সেটির ওপর ভিত্তি করে সংবিধান প্রণয়নের আগ পর্যন্ত দেশ পরিচালনাও হয়েছে। সেই নজিরের ওপর ভিত্তি করে এবারও সেটি করা যায়। তবে, সেটি রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে হওয়া সমীচীন হবে। এটা নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রক্লেমেশন নয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারিত জাতি। আর যেন প্রতারিত না হই এজন্য এই ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। আমরা চাই যেখান থেকে এক দফা ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকেই মুজিববাদের কবর রচনা করা হবে।

গত ২৮ ডিসেম্বর রাত থেকেই জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেয়ার কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এজন্য ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতাকে জড়ো হওয়ারও আহ্বান জানান।

২৯ ডিসেম্বর দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ৫ আগস্ট হওয়া উচিত ছিল। এটি না হওয়ার কারণে স্বৈরাচারের দোসররা সক্রিয় রয়েছে। অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষ ’৭২-এর মুজিববাদের সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। ’৭২-এর সংবিধানের বিরুদ্ধে যেভাবে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, সেটাকে স্বীকৃতি দিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।

হাসনাত বলেন, এটা নির্দিষ্ট কোনো দলের প্রক্লেমেশন নয়। আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রতারিত জাতি। আর যেন প্রতারিত না হই এজন্য এই ইশতেহার ঘোষণা করা হবে। আমরা চাই যেখান থেকে এক দফা ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, সেখান থেকেই মুজিববাদের কবর রচনা করা হবে। এ নিয়ে সেদিন বিএনপির একাধিক নেতা নেতিবাচক বক্তব্য দিলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ধোঁয়াশা তৈরি হয় ঘোষণাপত্র ঘোষণা নিয়ে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ভর করলেও এখন তাদের নিয়ে শুরু করেছে টানাহেঁচড়া। প্রথমে আন্দোলনের ক্রেডিট নিয়ে দূরত্ব তৈরি করেছে বিএনপি। এই সুযোগে পূর্ণাঙ্গ ক্রেডিট দিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে জামায়াত। দল গঠনসহ নানান ইস্যুতে বিএনপি সমালোচনা করলেও জামায়াত নীরব থেকেছে। এমনকি বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ইস্যুতেও জামায়াত ছিল নীরব; কিন্তু বিরোধিতা করেছে বিএনপি।

ঘোষণাপত্র দেবে সরকার : গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, সব পক্ষের সমন্বয়ে তারাই এই ঘোষণাপত্র দেবেন। পরে ছাত্ররা শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করলেও ঘোষণাপত্র দেননি। বরং তারা সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়ে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র দেওয়ার আলটিমেটাম দেন। সেদিন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমরা ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে উপস্থিত হয়েছি। আহত এবং নিহতদের রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেটি একটি ঘোষণাপত্রে লিপিবদ্ধ করতে চেয়েছিলাম। সরকার দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, নিহত হয়েছেন তাদের কথাগুলো যদি ঘোষণায় উল্লেখ না থাকে তাহলে জনতা সেই ঘোষণা মেনে নেবে না। সমাবেশে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, অসংখ্য শহীদের বাবা-মা এখানে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই, বিচারের জন্য যদি আপনারা সক্রিয় হতে না পারেন তাহলে দেশের ছাত্র-জনতা বিচার হাতে তুলে নেবে। আওয়ামী লীগকে বিচারের মাধ্যমে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়ায় যেতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে খুনি হাসিনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত মাঠ ছাড়বো না। লড়াই শুরু হয়েছে, লড়াই চলবে। সেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকারের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। অভ্যুত্থানে সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন। আমাদের আহ্বান থাকবে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার শিগগিরই কাজ শুরু করবে। সরকারকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। ‘আমরা মানুষের কাছে ছুটে যেতে চাই। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, পেশাজীবী মানুষের মাঝে জনসংযোগ চালাব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথভাবে এই কাজটি করবে।

এ নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আক্তার হোসেন বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে ’৭২-এর সংবিধানের পক্ষে ঢাল বানানোর চালাকির চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। কিন্তু সত্য হলো বিদ্যমান সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে না। এই সংবিধান মুক্তিযুদ্ধের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের রক্ষাকবচ হতে পারেনি। এই সংবিধান আওয়ামী চেতনার মোড়কে আবৃত। অতি ক্ষমতায়ন প্রধানমন্ত্রীকে সাংবিধানিকভাবেই স্বৈরাচারী হওয়ার সুযোগ দিয়ে রেখেছে। নাগরিক অধিকার সংকুচিত হয়ে আছে এতে। সিলগালা করে ফেলা হয়েছে এর প্রায় এক-তৃতীয়াংশকেই। সুতরাং একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করতেই নতুন সংবিধান প্রয়োজন। এ জাতি এবার সুযোগ পেয়েছে, কোনোভাবেই এই সুযোগ হাতছাড়া করা যাবে না।

বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে সরকারের কাজের অগ্রগতি বা প্রস্তুতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ বলেন, আমরা গত ৩০ ডিসেম্বর বলেছি, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনসহ সক্রিয় সব শক্তির সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একটা ঘোষণাপত্র দেয়া হবে। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরিনি। আমরা সেটা করব। এটির জন্য যে প্রস্তুতির কথা বলছেন, সেটি হলো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা। এই আলোচনার জন্য আলাদা প্রস্তুতির প্রয়োজন নেই। রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিতই যোগাযোগ থাকে।

কবে নাগাদ হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ আহম্মদ বলেন, আমরা শিগগিরই করব। এ বিষয়ে সরকার নিজেই আন্তরিক, সরকার সেটা করবে। ছাত্ররা যেটা চায় সেটা দেশের জন্য মঙ্গলের জন্য। সরকার যেটা চায়, সেটাও দেশের মঙ্গলের জন্য। দেশের মঙ্গলটা সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে যেন হয়, সেজন্য যা যা করা দরকার সরকার করবে।

আলাপ-আলোচনা করে আগানোই সমীচীন : এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক সাবের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ঘোষণাপত্রটা সরকার গঠনের প্রারম্ভে হলে সমীচীন হতো। যদিও সে সময় পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। করে নাই। তবে এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে আগানোই সমীচীন। কারণ শেষ পর্যন্ত একটা সময় নির্বাচন হবে, রাজনৈতিক দলের হাতেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সে সময় এটার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন প্রয়োজন হবে। এখন আলাপ-আলোচনা না করে করলে সেটার (ঘোষণাপত্র) দীর্ঘমেয়াদি বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হবে। যার ফলে একটু সময় লাগলেও আলাপ-আলোচনা করে আগানোই সমীচীন। এ নিয়ে বিএনপি নেতাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গেল ২৯ ডিসেম্বর এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সংবিধানে খারাপ কিছু থাকলে তা বাতিলযোগ্য। এই সংবিধানকে সংশোধন বা পুনর্লিখন করা যাবে। তবে কবর দেয়া হবে এভাবে বলা ঠিক নয়। এগুলো ফ্যাসিবাদের ভাষা।

নেওয়া হবে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত: রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাদের মতামত নিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গত রোববার (রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ঘোষণাপত্রের খসড়া তৈরি বা এর ডেভেলপমেন্ট কতদূর, এ নিয়ে আমরা বেশকিছু ফোন কল পেয়েছি। আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি, এটি নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে এবং সামনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা হবে। আমরা আশা করছি সামনে এর ডেভেলপমেন্ট দেখা যাবে। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কবে নাগাদ আলোচনা শুরু হবে- জানতে চাইলে প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে এখনো দিনক্ষণ নির্ধারিত হয়নি।