আলোচনায় মেজর ডালিমের সাক্ষাৎকার
প্রকাশ : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘ ৫০ বছর পর প্রকাশ্যে এসেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সংগঠিত সামরিক অভ্যুত্থানের অন্যতম সেনা কর্মকর্তা শরিফুল হক ডালিম। যিনি মেজর ডালিম হিসেবে পরিচিত। গত রোববার (৫ জানুয়ারি) একটি ইউটিউব চ্যানেলে লাইভ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসেন তিনি।
‘বিশেষ লাইভে যুক্ত আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিম (বীর বিক্রম)’ শিরোনামের সাক্ষাৎকারটি সঞ্চালনা করা হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অতিথি হিসেবে থাকা মেজর ডালিমের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সাক্ষাৎকারের পুরো সময়জুড়ে মেজর ডালিমের ব্যাকগ্রাউন্ড একাধিকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারটির শুরুতে জনৈক ‘রফিক’ নামেই সামনে আসেন তিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পরিবর্তন করে মেজর ডালিম লেখা হয়। সাক্ষাৎকারটি লাইভ চলাকালীন একসঙ্গে ৭ লাখ ৫৪ হাজার দর্শক দেখেছেন। যা ইউটিউবে নতুন রেকর্ড গড়েছে।
সাক্ষাৎকারটি প্রচারের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছে। জন্ম দিয়েছে আলোচনা-সমালোচনার। ইউটিউব কর্তৃপক্ষ সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনকে জানিয়েছে, তাদের প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের কোনো অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এটি নজিরবিহীন। ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের সাক্ষাৎকারটি দর্শকদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোচ্য হয়ে উঠেছে, যেখানে মেজর ডালিম তার জীবনের অজানা অধ্যায় ও নানা বিতর্ক নিয়ে খোলামেলা মত প্রকাশ করেন। সাংবাদিক ইলিয়াসের সাক্ষাৎকারটি এখন পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টায় ৫৯ লাখ ২৪ হাজার জন দেখেছেন। মন্তব্য করেছেন ৩৬ হাজার ৮০৩ জন দর্শক। মন্তব্যগুলো বিশ্লেষণে দেখা গেছে— খুব অল্প সংখ্যক মানুষই মেজর ডালিম কিংবা সাক্ষাৎকারের সঞ্চালক সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন। অপর দিকে বেশিরভাগ মানুষই তাদের জাতীয় হিরো হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন লিখেছেন, আমার বাবা গত ৩০ বছর আগে আমাকে যা বলেছিলেন, তা মেজর ডালিমের বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ মিল আছে। আমার বাবা আমাকে ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান দিয়েছিলেন। আরো একজন লিখেছেন, আমার বাবা একজন সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। তার কাছে আমি যা যা শুনেছিলাম ৯৫ শতাংশ মিলে গেছে, সেলুট জানাই মেজর ডালিম স্যারকে আপনি বাংলাদেশের সূর্যসন্তান।
আরেকজন লিখেছেন, আমার বয়স ৪০ বছর ওভার, এতদিন মেজর ডালিম (স্যার) সম্পর্কে শুধু শুনেছি, উনি বেঁচে আছেন সেটাও জানতাম না, পৃথিবী হতে বিদায় নেয়ার আগে আমার দেশের এক অজানা অধ্যায় সম্পর্কে জানতে পারলাম, ইলিয়াস ভাই আপনাকে ধন্যবাদ দিলে অনেক ছোট হয়ে যাবে সেটা, আমি বলবো অসম্ভবকে সম্ভব করাই হলো সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ভাইয়ের কাজ।’
একজন লিখেছেন, ইলিয়াস ভাইয়ের মতো আমিও মেজর ডালিমকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই অখ্যায়িত করছি এবং তখনকার ওই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর ডালিমকে জানাচ্ছি সংগ্রামী শুভেচ্ছা।
তবে লাইভ চলাকালীন সঞ্চালক মেজর ডালিমের উদ্দেশে বলেন, হাতে গোনা ১০-১২ জন আমাকে আপনাকে গালি দিচ্ছে। বাকিরা আপনার পক্ষেই আছে। জানা যায়, শরিফুল হক ডালিম ওরফে মেজর ডালিম সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে অবসরে যান।