বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অল্পদিনের মধ্যে পুরোপুরি মুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, পুরোপুরি মুক্ত হয়ে তারেক রহমানও আমাদের মাঝে এসে উপস্থিত হবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের যে ত্যাগ, আমাদের জনগণের, আমাদের ছাত্রদের, আমাদের যুবকদের, আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের আমাদের মহিলাদের এটা কোনো দিনই বৃথা যাবে না। তিনি বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদকে সরাতে পেরেছি। দাঁড়াতে পেরেছি। এখানে যেন আমরা কোনোভাবেই হীনমন্যতায় না ভুগী। দুর্ভাগ্য হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আমাদের কেন যেন নিজেদের সেই পুরো বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারছি না। ঐক্যের জায়গাটাতে থাকতে পারছি না। কী দুর্ভাগ্য। এখন যেটা শুরু হয়েছে সেটা সুস্থ ব্যাপার না। এটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। ক্ষমতায় তো টিকে থাকবেন তখনই যখন এটাকে সেটল করতে পারবে।
বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার জন্য বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর জন্য কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, কাতারের আমিরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি তারা একেবারেই কোনোরকম পারিশ্রমিক ছাড়া অ্যাম্বুলেন্সে দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই ব্রিটিশ সরকারকে তারা সেখানে যাওয়ার ব্যাপারটা নিশ্চিত করেছেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেবসহ যারা ওখানে রয়েছেন তারা ইতিমধ্যে চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করেছেন। গতকাল ম্যাডাম মুক্ত অবস্থায় তার চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে পৌঁছেছেন, এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী আছে।
সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কার সংস্কার বলা হচ্ছে। সংস্কার তো আমরা আগে শুরু করেছি। জিয়াউর রহমান প্রথম সংস্কার করেছেন, একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রবর্তন করেছেন। এই যে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা একদম বন্ধ ছিল মাত্র চারটা পত্রিকা চালু ছিল। সবগুলো সংবাদপত্র চালু করে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফাত আলী সপু প্রমুখ।