ঢাকা ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত

বাড়ছে উদ্বেগ উত্তেজনা

বাড়ছে উদ্বেগ উত্তেজনা

ফেলানি হত্যার নির্মমতার পরও সীমান্তে নির্বিচারে বাংলাদেশি মানুষ হত্যা ভারতীয় চরিত্রের দীর্ঘদিনের অংশ যা প্রতিনিয়ত উদ্বেগের মধ্যে রাখছে বাংলাদেশকে। নতুন করে শূন্য রেখার ৫০ গজের মধ্যে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। কূটনীতিকরা বলছেন, পারস্পরিক আলোচনা ছাড়াই ভারতের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পেছনে বিশেষ কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা যেতে পারে। আইনজীবীরা বলছেন, এক্ষেত্রে নিজেদের প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আইনের সহায়তা চাইতে পারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া স্থাপনের প্রতিবাদ জানাতে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রোববার বিকালে সশরীরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ মোকাবিলায় আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্ত অপরাধমুক্ত রাখতে বদ্ধপরিকর। তাই সীমান্তে বেড়া নির্মাণে বাংলাদেশের সহযোগিতা আশা করে ভারত। প্রণয় ভার্মা বলেন, নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে বেড়া দেয়ার বিষয়ে আমাদের সমঝোতা রয়েছে। বিএসএফ ও বিজিবি এ বিষয়ে যোগাযোগ করছে। অবস্থানগুলো বাস্তবায়ন ও অপরাধ দমনে একটি সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে। এর আগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে গত ৩ ডিসেম্বর ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল। গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ঘটনায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে দুয়েকদিনের মধ্যে ডাকা হবে বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য রেখার বিভিন্ন জায়গায় বিএসএফের আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে বাধা দিয়ে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়া নির্মাণ বন্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে বিজিবি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, এরইমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, লালমনিরহাটের দহগ্রামসহ পাঁচ স্থানের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগের সরকার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে চারটি চুক্তি করেছিল। ওইসব চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ঢাকা-দিল্লির কূটনৈতিক ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ভারত সীমান্তে নজরদারি আরো শক্তিশালী করার জন্য সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এই প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে, নাইট ভিশন ক্যামেরা ও মুভমেন্ট ডিটেক্টর যা নিরাপত্তার দিক থেকে বিএসএফের কার্যক্রমকে আরো কার্যকর করেছে। এছাড়া সীমান্তে নতুন করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে ভারত।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বেড়া নির্মাণ বন্ধে শক্ত অবস্থানে থাকবে বিজিবি। এরইমধ্যে লালমনিরহাটের দহগ্রামসহ পাঁচ স্থানের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আগের সরকার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে চারটি চুক্তি করেছিল। সেসব চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করা হবে।

স্থানীয়রা জানায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখার মধ্যে আইন লঙ্ঘন করে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে বিএসএফ। এ নিয়ে বিএসএফ ও বিজিবি সীমান্তে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করায় উত্তেজনা তৈরি হয়। গত শুক্রবার সকালে সীমান্তের প্রায় অর্ধকিলোমিটারের মধ্যে বিএসএফ ভারতীয় ৩০-৩৫ জন নির্মাণ শ্রমিককে দিয়ে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি খুঁটির মধ্যে প্রায় চার ফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে। শূন্যরেখার দেড়শ’ গজের শেষ অংশে স্থানীয়রা এসব স্থাপন করতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। এরপর ৫১ রংপুর বিজিবি ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া স্থাপনে বাধা দেন। এতে কিছু সময় নির্মাণকাজ বন্ধ রাখেন বিএসএফ সদস্যরা। পরে কয়েকশ’ বিএসএফ সদস্য এবং লোকজন নিয়ে আবারো বেড়া স্থাপনের কাজ করতে থাকেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে বিএসএফ। গোটা দহগ্রাম ইউনিয়ন সীমান্তে বিজিবিকেও সতর্ক অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

কূটনতৈক বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভারতের এমন পদক্ষেপের পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার দীর্ঘ ইতিহাস, যেমন ফেলানি হত্যাকাণ্ড, বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ভারতীয় বাহিনীর কার্যকলাপ এবং সীমান্তে নতুন পদক্ষেপের ফলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

কূটনীতিকরা জানান, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামে এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারলে ভালো। কারণ ভারত একতরফাভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। না হয় সীমান্তে উত্তেজনা আরো বাড়তে পারে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আরো অধিক আলোচনা এবং কূটনৈতিক উদ্যোগ নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন তারা। যাতে ভবিষ্যতে সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখা যায়। এদিকে ভারত নিরাপত্তা ইস্যু সামনে এনে দুই দেশের জল ও স্থলসীমাসংলগ্ন এলাকা থেকে ১৫০ মিটার দূরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনাও করেছে। দেশটির উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দুটি অঞ্চলে সীমান্ত প্রহরায় নতুন বেশ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে বিএসএফ। এ অঞ্চল দুটির একটির বিপরীতে আছে বাংলাদেশের যশোর, আরেকটির উল্টোদিকে সাতক্ষীরা জেলা। বিএসএফের দক্ষিণ বঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের প্রায় ৩৬৩ কিলোমিটার নদী সীমান্ত। ফ্রন্টিয়ারের ৯০০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকার মধ্যে প্রায় ৪০০ কিলোমিটারে চিরাচরিত কাঁটাতারের বেড়া দেয়া গেছে, বাকি প্রায় অর্ধেক এলাকায় এখনো কাঁটাতারের বেড়া দেয়া সম্ভব হয়নি বলে বিএসএফের বরাত দিয়ে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ এলাকায় বেশ কিছু অরক্ষিত বা ভালনারেবল (ঝুঁকিপূর্ণ) জায়গা চিহ্নিত করেছে বিএসএফ, যেগুলো দিয়ে সীমান্ত-অপরাধ হচ্ছে। চিহ্নিত জায়গাগুলোতে প্রহরীরা তো থাকবেনই আগের মতো, তার সঙ্গে সমন্বিত একগুচ্ছ অন্য ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

ভারতের গণমাধ্যম বলছে, নতুন সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় একসারি কাঁটাতারের বেড়া লাগানো হবে এবং একই সঙ্গে নজরদারির জন্য একাধিক বৈদ্যুতিক যন্ত্র এবং অত্যাধুনিক ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। সঙ্গে প্রহরীদের সতর্ক করার জন্যও কিছু যন্ত্র লাগানো হয়েছে। নতুন এই সমন্বিত ব্যবস্থাপনাকে বিএসএফ বলছে, ‘ইলেকট্রনিক সারভেইল্যান্স অ্যাট ভালনারাবেল প্যাচেস ইএসভিপি’ বা ‘অসুরক্ষিত এলাকাগুলোর জন্য বৈদ্যুতিক নজরদারি’ ব্যবস্থা। আবার সীমান্ত লাগোয়া ১৫০ মিটার বসতি খালি করে দিয়ে সেখানকার মানুষদের অন্যত্র জমি দেয়ার জন্য আলোচনাও চলছে। সীমান্তলাগোয়া এলাকা খালি করে দেয়ার পরেই সেখানে ইএসভিপি ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে।

তবে আপাতত লালমনিরহাটের পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে বিএসএফ শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছে। গত শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের বিজিবির রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) আমীর খসরু এ তথ্য নিশ্চিত করেন। বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত শুক্রবার সকাল থেকে বিজিবিকে কোনো কিছু না জানিয়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ শুরু করে বিএসএফ। সকাল থেকে বাংলাদেশ-ভারত প্রধান পিলার ডিএমপি ৮ নম্বরের উপ-পিলার ৪৬ থেকে ৩৭ নম্বর সীমান্তের প্রায় অর্ধকিলোমিটারের মধ্যে বিএসএফ ভারতীয় ৩০ থেকে ৩৫ জন নির্মাণ শ্রমিককে দিয়ে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি খুঁটির মধ্যে প্রায় চার ফুট উঁচু কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে। শূন্যরেখার দেড়শ’ গজের শেষ অংশে স্থানীয়রা এসব স্থাপনা করতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। বিজিবির ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি ও দহগ্রাম ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বেড়া স্থাপনে বাধা দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তে বিএসএফের অসংখ্য সদস্য মোতায়েন করে ভারত। সীমান্তে বিজিবিও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতের কোচবিহারের ৬ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের করুণ ক্যাম্পের সদস্যরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন না মেনে শূন্যরেখার ১৫০ গজের একদম শেষ অংশে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছিলেন। বিজিবি রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের এডি আমীর খসরু গণমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের ঘটনায় চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আমরা এখনো উপনীত হতে পারিনি। গত শুক্রবার বিএসএফের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছিল। আমরা জনবল বৃদ্ধি করেছি। বিএসএফ কাজ বন্ধ রেখেছে। বিষয়টি আমাদের ঊর্ধ্বতন র্কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছে। বিজিবি সীমান্তে শক্ত অবস্থানে আছে। এর আগে একই জায়গায় গত বছরের আগস্টে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করে। গত ৬ জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তেও একই ঘটনা ঘটে। দুই দিন পর বেড়া নির্মাণকাজ বন্ধ করে বিএসএফ। সে সময়ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। একইভাবে গত ৬ জানুয়ারি নওগাঁর ধামুইধা সীমান্তেও একই ঘটনা ঘটে। সে দিনই ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা গোদলা নদীর পাঁচ কিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করার দাবি করে বিজিবি। পরে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বিএসএফ বিজিবির দাবি নাকচ করেছে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, পূর্ব আলোচনা ছাড়া সীমান্তে কোনো দেশের কাঁটাতারের বেড়া দেয়া আন্তর্জাতিক সীমানা আইনের লঙ্ঘন। এ আইন অনুসারে সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা বা বেড়া নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু বিএসএফ সেটি না মেনে সীমান্তের ১০-১২ গজের মধ্যে কাজ শুরু করলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

তবে বিএসএফ এ প্রসঙ্গে বলেছে, ২০১০ সালের চুক্তি অনুযায়ী আঙ্গুরপোতা দহগ্রাম এলাকায় শূন্যরেখা বরাবর তারা এক সারি কাঁটাতার দিতে পারবে। বিজিবি বলছে, ২০২১ সালে তিনবিঘা করিডর দিয়ে আঙ্গুরপোতা দহগ্রাম এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবার কেবল স্থাপনকাজে বিএসএফ বাধা দেয়। সেটির এখনো কোনো সমাধান হয়নি। এমন উত্তেজনার মধ্যে গতকাল চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হন।

আইনজ্ঞরা বলছেন, যখন দুই দেশ ভাগ করা হয়, তখন ওই সীমান্তেই মানুষ বসবাস করছিল। এখনো যদি আপনি সীমান্তের মধ্যে যান তাহলে দেখতে পাবেন, সীমান্তের দুইপাশেই একটা করে পরিবারের বসবাস রয়েছে। সে হিসাবে তারা মনে করেন, সেই দেশে এধরনের কাজ অমানবিক। অন্য এক আইনজ্ঞ বলেন, বর্ডার টেনশন থাকতে পারে কিন্তু তাই বলে আপনি এমন কিছু করতে পারবেন না যা যেখানে অন্য কোনো সার্বভৌম দেশের বর্ডার জড়িত। একটি এগ্রিমেন্ট বা আলোচনার ভিত্তিতে এর সমাধান হতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত