১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা

খালাস বাবর

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত দশ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আরেকটি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। ওই ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলায় তাকেসহ পাঁচজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে বাবরের কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। খালাসপ্রাপ্ত অপর চারজন হলেন মহসিন তালুকদার, একেএম এনামুল হক, রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও নূরুল আমিন।

এছাড়া ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সামরিক কমান্ডার পরেশ বড়য়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে কমিয়ে আসামি আকবর হোসেন, লেয়াকত হোসেন, হাফিজুর রহমান ও শাহাবুদ্দিনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর মৃত্যুর কারণে চারজনকে এই মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। তারা হলেন, আব্দুর রহিম, মতিউর রহমান নিজামী, দ্বীন মোহাম্মদ ও হাজী আব্দুস সোবহান।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান ও আইনজীবী শিশির মনির।

রায় ঘোষণা শেষে সাংবাদিকদের শিশির মনির বলেন, কোর্ট বলেছেন আজকেই একটি অ্যাডভান্স অর্ডার সই করে দেবেন। আমি আশা করি আজকেই এই আদেশ পৌঁছানো হবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে লুৎফুজ্জামান বাবর জেল থেকে মুক্তি পাবেন।

আইনজীবী বলেন, তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগারে আছেন। কারাগারে আদেশ যথানিয়মে পৌঁছানোর পর তার আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহীরা যারা আছেন, সবাই আইন-কানুন মেনে বের করে যথাসম্মানে তাকে বাসায় পৌঁছে দেবেন।

এর আগে সবশেষ গত ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছিলেন বাবর। এছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা থেকেও খালাস পেয়েছেন তিনি।

সেনাসমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ২৮ মে আটক হন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেই থেকে কারাগারেই রয়েছেন তিনি। এরপর বিভিন্ন মামলায় তার দণ্ড হয়। যার মধ্যে দুটি মামলায় তার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়, একটিতে হয় যাবজ্জীবন দণ্ড। এর মধ্যে ২৩ অক্টোবর দুর্নীতির মামলায় আট বছরের দণ্ড থেকে এবং ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে খালাস পান তিনি। সবশেষ ১৮ ডিসেম্বর ১০ ট্রাক অস্ত্র আটকের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পান সাবেক এ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

বাবর ১৯৯১ সালে প্রথমবার নেত্রকোনার মদন-খালিয়াজুড়ি-মোহনগঞ্জ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সবশেষ ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি বিএনপিতে প্রভাবশালী নেতাদের একজন ছিলেন।