বিএনপির চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সবকিছুই পলিটিক্যাল স্ক্রিপ্ট ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। গতকাল বুধবার সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার পর তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘এই মামলাটি ছিল পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিচারিক আদালত পাঁচ বছরের সাজা দিয়েছিল, কিন্তু হাইকোর্ট তা ১০ বছর করে। তবে আজ আপিল বিভাগ সব আসামিকে খালাস দিয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর হলেও এটা প্রমাণিত হলো যে, তারেক রহমান নির্দোষ ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলার রায় বাতিল করা হয়েছে।’
কায়সার কামাল বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলছিলাম, এই মামলাটি শেখ হাসিনা ওয়াজেদের ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার ফলস্বরূপ ছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারকে হেয় করা এবং ক্ষুণ্ণ করা। সংসদে দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা মিথ্যা অভিযোগ তুলেছিলেন যে, খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকের রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে বেগম খালেদা জিয়া নির্দোষ। সর্বোচ্চ আদালত তাকে ‘নট গিল্টি’ ঘোষণা করেছে। এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাসের জন্য অন্যদেরকে মামলায় জড়িয়েছিলেন।’
এছাড়া, কায়সার কামাল আরো বলেন, ‘রায়ের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ অন্য সব আসামি নির্দোষ। পাঁচ বছরের সাজা ১০ বছর করা হলেও, আপিল বিভাগ তাদের খালাস দিয়েছে এবং রায় বাতিল করেছে।’ এর আগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালতের রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।