গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী মামলায় বহিঃসমর্পণ চুক্তি অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভারত অনুরোধের জবাব না দিলেও আইন ও বিচার প্রক্রিয়া তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম। গতকাল গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমাদের সাথে তাদের সম্পাদিত বহিঃসমর্পণ চুক্তি অনুযায়ী ভারতকে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানানো হয়েছে, দেখা যাক, ভারত জবাব দেয় কি না। না দিলেও আইন ও বিচার প্রক্রিয়া তার নিজস্ব গতিতেই চলবে।
শেখ হাসিনাসহ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্রেফতারের প্রক্রিয়ার সাথে পুরো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জড়িত।
যেহেতু এখানে প্রসিকিউশন বা তদন্ত সংস্থার কোনো হাত নেই, সুতরাং তারা গ্রেফতার হওয়ার পর যখন ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে তখন বাকিটা বলা সম্ভব হবে। এ ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা থাকলে সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিতে পারবেন। সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির সাথে সংশ্লিষ্ট মামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমরা দিনরাত কাজ করছি। অগ্রগতি অবশ্যই আছে এবং আমরা দ্রুততম সময়ে দুই একটি মামলার প্রতিবেদন পেয়ে যাবো।
আমাদের কাছে নানাভাবে তথ্য আসে। বহুমুখী সাক্ষ্যর সমন্বয়ে একটি তদন্ত হয় এবং নিখুঁতভাবে সে কাজটি করতে হলে যে সময় প্রয়োজন সেটি নেয়া হচ্ছে ও প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনালে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়গুলোর তদন্ত চলমান আছে এবং দ্রুত এ তথ্যগুলো উন্মোচিত হবে বলে আশা করছি।