বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন সব প্রকল্প ও কর্মসূচির ব্যয় অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে নির্দেশনার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়নি। এমন সিদ্ধান্তকে প্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ইউএসএআইডির অর্থায়ন বন্ধ নিয়ে গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশেও সব মার্কিন সহায়তা বন্ধের প্রশ্নে তৌহিদ হোসেন বলেন, এটার উত্তর এখন দিতে পারবেন না। কারণ, তার কাছে এরকম কিছু আসেনি। তবে এটা এরই মধ্যে পত্রিকায় চলে এসেছে। মোটামুটি এটা প্রত্যাশিত ছিল। যুক্তরাষ্ট্র ৯০ দিনের জন্য সব ধরনের তহবিল বন্ধ রাখছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিন্তু নির্বাচনের আগে থেকে বলছিলেন, এগুলো বিবেচনা করে নতুন করে দেখবেন। তারা বিবেচনার জন্য সময়টা নিয়েছে, এভাবে তো বলেছে। ধরে নেয়া যায়, এ ধরনের তহবিল কমবে; এটা তো সবাই আশঙ্কা করছিল। মার্কিন সহায়তা বন্ধে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের বাৎসরিক অর্থায়নে প্রভাবের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা নতুন বাস্তবতায় তো আসছি। এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত না। কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন প্রেসিডেন্ট এসেছেন। তার যে নীতিমালা সেগুলো যে আগের থেকে ভিন্ন, এটা সবাই জানতেন। আমাদের দেখতে হবে, আসলে শেষ অবধি কি দাঁড়ায় এবং যেকোনো পরিস্থিতি যখন সৃষ্টি হবে, তখন সেটা আমাদের ম্যাটারস বিহাইন্ডে বের করতে হবে; কীভাবে আমাদের স্বার্থরক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন সব প্রকল্প ও কর্মসূচির ব্যয় অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল ইউএসএআইডি বাংলাদেশ কার্যালয়ের পরিচালক রিচার্ড অ্যারন সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ সব স্থানীয় উন্নয়ন সংগঠনের জন্য এ নির্দেশনা জারি করে চিঠি দেন। ইউএসএআইডি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র আর বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে না। তবে জরুরি খাদ্যসহায়তা এবং ইসরাইল ও মিশরের জন্য সামরিক অর্থায়নকে এ সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হয়েছে।