দীর্ঘ ১৬ বছর বিএনপি নেতাদের ঈদ কেটেছে নানা শঙ্কা আর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায়। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনে সেই চিত্র এবার পাল্টে গেছে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর এবার প্রথমবারের মতো মুক্ত পরিবেশে স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করবেন দলটির নেতাকর্মীরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন এবার বিএনপিকে এনে দিয়েছে মুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপনের সুযোগ। সেটিকে কাজে লাগাতে বেশিরভাগ নেতা এলাকায় গেছেন। প্রিয়জন ছাড়াও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সময় দিচ্ছেন। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত ভিন্ন আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। ঈদ আনন্দে সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তৎপরতা চালাচ্ছেন। পথসভা, গণসংযোগসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পাশে টানছেন নেতাকর্মীকে। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, ওয়ান-ইলেভেনে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে তাদের ফেরারি জীবন শুরু। এর পর ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হলে আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে রাজনৈতিক জীবন। নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার হিড়িক পড়ে। মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা ঘরবাড়ি ছেড়ে ভুলে যান ঈদসহ বিভিন্ন উৎসব। অভ্যুত্থানের পর ফেরারি জীবন থেকে বাড়ি ফিরেছেন; এবার মুক্ত বাতাসে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন নেতাকর্মীরা। সূত্রমতে, অধিকাংশ নেতারাই নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। ঢাকায় যারা ঈদ করবেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ঈদের নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে টার্গেট করে কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তারা। বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী প্রায় দেড় যুগ প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে পারেননি।
বিএনপির কয়েকজন নেতার সাথে কথা হলে তারা জানান, ঈদ মানে আনন্দ। গত ৫ আগস্টের আগে দীর্ঘ ১৬ বছর সেই ঈদের আনন্দ পরিবারে ছিল না। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারিনি, পালিয়ে থাকতে হয়েছে। কেউ কেউ ঈদে বাড়িতে গেলেও হামলার শিকার হতে হয়েছে। অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। একই রকম অবস্থা ছিল দলের সব অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্র থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন সবাই। আগের অবস্থা এখন আর নেই। উৎসবমুখরভাবে এবারের ঈদুল ফিতর পালন করবেন তারা। যেহেতু সামনে জাতীয় নির্বাচন, তাই সব পর্যায়ের মানুষ নিয়ে এলাকায় এক মহামিলন ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেন নেতারা।
লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ করবেন খালেদা জিয়া : বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবার লন্ডনে তার পরিবারের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। দশ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তারা একসঙ্গে উৎসব অনুষ্ঠান ভাগাভাগি করবেন। এরআগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় আট বছর পর সেবার পরিবারের সদস?্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন তি?নি। শেষবার লন্ডনে খালেদা যখন ঈদ উদযাপন করেছিলেন তখন তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানরা সঙ্গে ছিলেন। ছিলেন প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী-সন্তনরাও। কোকোর মৃত্যুর পর সেটি ছিল জিয়া পরিবারের জন্য এক আবেগঘন পুনর্মিলন।
চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে যান বেগম খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও তিন নাতনির সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ওই সময় তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ?যাপন করেন। এরপর দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ?যাপন করা হয়নি তার। ৭৯ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন।
বিএনপি : দীর্ঘদিন পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে এবার ঈদ করবেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দুই পুত্রবধূ ও নাতনিদের সঙ্গে ঈদ করবেন তিনি। ঈদের দিন বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র নেতারা ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এছাড়া ঈদের দিন সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করবেন দলের সিনিয়র নেতারা। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় ঈদ করবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান ও সালাউদ্দিন আহমেদ ঢাকায় ঈদ করবেন। এর মধ্যে সালাউদ্দিন আহমেদের নিজ এলাকা কক্সবাজারে যাওয়ার কথা রয়েছে। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন লন্ডনে ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকায় ঈদ করবেন। এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু ঢাকায়, বরকত উল্লাহ বুলু নোয়াখালী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ঢাকায় এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোরে নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন নরসিংদীতে, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি লক্ষ্মীপুরে ঈদ করবেন। আরেক যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহে ও আব্দুস সালাম আজাদ মুন্সীগঞ্জের নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল গাজীপুরের নিজ নির্বাচনি এলাকায়, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল খুলনার নিজ নির্বাচনি এলাকায় ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম সিরাজগঞ্জের নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহ-সম্পাদক, বিএফইউজের মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু নাটোরে নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল বিদেশে রয়েছেন, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ঢাকায় ঈদ করবেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ও সদস্য সচিব মোস্তফা জামান ঢাকার নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু ও সদস্য সচিব তানভির আহমেদ রবিন ঢাকায় ঈদ করবেন।
দীর্ঘ কারাজীবনের ফাঁড়া কাটিয়ে এবার মুক্ত পরিবেশে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে ঈদ করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি কারামুক্ত হয়েছেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা লায়ন আসলাম চৌধুরী, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মনির হোসেনও মুক্ত জীবনে ফিরেছেন। তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সহকারী মিয়া নুরুদ্দিন অপুও দীর্ঘ ছয় বছর পর ঈদ করবেন প্রিয়জনের সঙ্গে। তবে এবারও কারাগারে ঈদ করতে হচ্ছে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও কুমারখালী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীরকে।
নেতাকর্মীরা জানান, মুক্ত বাতাসে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নানা পরিকল্পনা করেছেন তারা। আগামী নির্বাচনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা তৃণমূলকে আস্থায় নিতে এলাকায় অবস্থান করছেন। বিগত দিনে নির্যাতিত নেতাকর্মী ছাড়াও গুম-খুনের শিকার নেতাকর্মীর পরিবারের কাছে যাচ্ছেন। ঈদসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। জনসংযোগ, সামাজিক ও ধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন। ঐক্য ও শান্তির বার্তা দিচ্ছেন।
জামায়াত : জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ঢাকায়, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান মক্কায়, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লার নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। আরেক নায়েবে আমির মাওলানা শামসুল ইসলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার খুলনার নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মাছুম কুমিল্লা, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ ঢাকার বসুন্ধরায়, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের মক্কায়, মোয়াজ্জম হোসাইন হেলাল বরিশালে, মাওলানা মো. শাহজাহান চট্টগ্রামের নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ ঢাকার উত্তরায় ঈদ করবেন।
এনসিপি : জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ঢাকায় ঈদ করবেন। সদস্য সচিব আখতার হোসেন এরইমধ্যে তার নিজ এলাকা রংপুরে অবস্থান করছেন। নিজ এলাকায় তিনি ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ভোলার নিজ এলাকায় ঘুরে এসেছেন, ঢাকায় ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারার রাজবাড়িতে ঈদ করার কথা রয়েছে। দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়ে, আরেক মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লায় নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ঢাকায় ও সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান মাসউদের তার নিজ এলাকা নোয়াখালীতে ঈদ করার কথা রয়েছে।
অন্যান্য দল : এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম সৌদি আরবে, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ খুলনার নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা ঢাকায় ঈদ করবেন। এর মধ্যে এহসানুল হুদা ঢাকায় ঈদ করে কিশোরগঞ্জের নিজ নির্বাচনি এলাকায় যাবেন। ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু চট্টগ্রামের নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহের নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম ঢাকায় ঈদ শেষে লক্ষ্মীপুরের নিজ নির্বাচনি এলাকায় যাবেন। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ফেনীতে নিজ নির্বাচনি এলাকায় ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ নিজ এলাকা বাবুগঞ্জে ঈদ করবেন। অবশ্য তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেই নির্বাচনি এলাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।