সুনির্দিষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই নানা কর্মসূচি দিয়ে রাজপথে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি। এ নিয়ে দলটির মিত্রদের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। তারাও একই দাবিতে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবে। চলতি এপ্রিল মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা না হলে মে মাসের শুরুতে রাজপথের কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি রয়েছে দলটির। একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকেই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সংস্কারের জন্য সরকারকে সময় দেয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বিমত থাকলেও ভোটের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দাবিতে একাট্টা বিএনপি ও তাদের মিত্রদলগুলো। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন কবে হবে- অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে সে বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা চায় তারা। সেই আলোকে নির্বাচন কমিশনের সব ধরনের প্রস্তুতিও শুরু করা দরকার বলে মনে করে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো।
নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একেক সময় একেক ধরনের বক্তব্য আসছে। বিশেষ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি বলেছেন, সংস্কার শেষ করে ভোট করতে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। অথচ এতোদিন সরকার বলে আসছিল, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট হবে। সরকারের এ ধরনের বিক্ষিপ্ত বক্তব্য পর্যালোচনা করে দলগুলো মনে করছে, সংস্কারের দোহাই দিয়ে পর্দার আড়ালে প্রকারান্তরে নির্বাচন পেছানোর সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র চলছে। দলগুলোর দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। এখানে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বিএনপির এক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা মৃতপ্রায় গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি। স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ভোটাধিকার হরণ করে রেখেছিল। মানুষ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে। কিন্তু ৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কবে ভোট হবে তার কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ সরকার ঘোষণা করেনি। আমরা বারবার নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসলেও তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এভাবে আর চলতে পারে না। চলতি মাসের মধ্যে নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা না করলে আমরা রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা প্রথমে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে সমাবেশ করব। এরপরও দাবি আদায় না হলে ঢাকায় মহাসমাবেশসহ নানা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন যত দেরি হবে, তত বেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ডালপালা বাড়তে থাকবে। সমাজের মধ্যে এখনই বিভিন্ন রকম কথাবার্তা আস্তে আস্তে ছড়াচ্ছে যে, এ দেশ থেকে যারা পালিয়ে গেছে তারা মানুষের বিপুল পরিমাণ সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। অবশ্যই তারা সেই সম্পদগুলো সেই ষড়যন্ত্রের পেছনে ব্যয় করবে। কাজেই দেশকে যদি একটি স্থিতিশীল অবস্থার ভেতরে আনতে হয় তবে তার দায়িত্ব অবশ্যই জনগণের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। এ দেশের মূল মালিক জনগণ। এ দেশ নিয়ে কী হবে, না হবে সে সিদ্ধান্ত নেবার একমাত্র ক্ষমতা বাংলাদেশের মানুষের। আমরা জনগণের অধিকার যত দ্রুত তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারব, জনগণের অধিকার যত দ্রুত এ দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব, তত দ্রুত দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনতে আবার সক্ষম হব। তারেক রহমান আরও বলেন, সমগ্র পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে যা বোঝায় তা হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের মতামত ব্যক্ত করে থাকে। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করে থাকে। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তারা কী চায়। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দিয়ে থাকে তারা দেশকে কী বলতে চায়। রাজনীতিবিদসহ সবাইকে কী বলতে চায়, নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ এসব কাজ করে থাকে। কাজেই জনগণের অধিকার যদি জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হয়, দেশ কীভাবে চলবে, কী হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জনগণের।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন’ বক্তব্যকে ‘অস্পষ্ট আখ্যা দিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবিলম্বে একটি ‘স্পষ্ট রোডম্যাপ’ দাবি করেছেন। সম্প্রতি শেরেবাংলা নগরে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ‘এই (ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন) বক্তব্য অস্পষ্ট... এটা অত্যন্ত অস্বচ্ছ একটি বক্তব্য। ডিসেম্বর থেকে জুন... ছয় মাস। মির্জা ফখরুল সেই সময় আরও বলেছিলেন, আমরা বারবার বলেছি, একটি স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন। অন্যথায় যে সংকট তৈরি হচ্ছে, তা সমাধান হবে না,’ বলেন তিনি। সম্প্রতি এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস পুনর্ব্যক্ত করেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা চাই আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হোক।’ নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, অতি অল্প সময়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করাই বর্তমান সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত। জনগণ নির্বাচিত সরকার চায়, যেখানে প্রতিনিধিরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। কারণ সমস্ত সংগ্রাম হয়েছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। তাই নির্বাচনের কথা বলছে বিএনপি। জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য সংস্কার চায় না।
দেশ ও জনগণের স্বার্থে আঘাত এলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি এখনও রাস্তায় নামেনি। জনগণের স্বার্থ বিঘ্ন হলে বিএনপি আবারও মাঠে নামবে। জনগণকে ভোট থেকে বঞ্চিত করতে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিএনপি তা হতে দেবে না।’
এদিকে দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনা বলতেন- ‘আমরা উন্নয়ন করছি। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। নির্বাচন কেন দরকার?’ অন্তর্বর্তী সরকারও বলতে শুরু করেছে, ‘আমরা সংস্কার করছি। অর্থনৈতিক উন্নয়ন করছি।’ আমরা আপনাদের বলছি, সরি। সংস্কার আপনাদের কাজ না। আপনাদের কাজ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। দেশে প্রত্যেক দিন গণতন্ত্র ছাড়া অতিবাহিত হচ্ছে। দয়া করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেন। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেন। সংস্কার যেটা বলছেন এটা নির্বাচিত সরকারের দায়িত্ব। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার যাবতীয় সংস্কার করবে।
এদিকে, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টাকে দ্রুত নির্বাচনি রোডম্যাপ দেয়ার জন্য জোর দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি। দলটির এ দাবির সঙ্গে ঐকমত্য জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। গত শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সঙ্গে বৈঠক করে হেফাজতে ইসলাম। বৈঠক শেষে হেফাজত নেতাদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন, যেন ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা যায়। কারণ, আমরা কখনও শুনি ডিসেম্বর থেকে জুন আবার কখনও শুনি জুন থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে হবে নির্বাচন। এটি নিয়ে শিফটিং হচ্ছে। কিছু গোষ্ঠী নির্বাচন বিলম্বের পাঁয়তারা করছে।
এ প্রসঙ্গে কথা হলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সম্প্রতি বলেছেন, আমাদের কাছে নির্বাচন অগ্রাধিকার প্রসঙ্গ। আমরা আগামী ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করেই এগুচ্ছি।’ এরই মধ্যে নির্বাচন হবে আমরা সেটাই আশা করি। আর যদি সরকার নির্বাচন দিতে কালবিলম্ব করে তাহলে আমাদের আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেবে। তবে, আমরা প্রত্যাশা করি, ড. ইউনূস তা করবেন না, তার কথা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়েই নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।
নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত কি না জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বিগত ১৬ বছর ধরেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সংস্কারের কথা বলে জনগণের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে লুকোচুরি খেলছেন। একবার বলেন মার্চ, একবার জুন, একবার ডিসেম্বর। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ লুকোচুরি খেলছেন। সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার তো করবে নির্বাচিত সরকার। আপনারা সংস্কারের একটা প্রস্তাব দিতে পারেন।
দলগুলোর শীর্ষ নেতারা জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নির্বাচনের সময় সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়েছেন মাত্র। কিন্তু তাতে সুস্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ নেই। এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে কি ধরনের সংস্কার করা হবে, সেজন্য কতটা সময় প্রয়োজন, তাও স্পষ্ট নয়। এ অবস্থায় নেতারা প্রত্যাশা করেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের সময় সুনির্দিষ্ট করে এপ্রিলের শুরুতে সরকার একটি রোডম্যাপ দেবে। এটি না দেয়ার কারণে দেশে নতুন করে নানা সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, যা আগামীতে আরও ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক দলগুলোও একটা অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা মনে করছেন- নির্বাচনি কাজে মাঠে নামতে পারলে নানারকম গুজবসহ বিদ্যমান সংকটের অনেকটাই সমাধান হয়ে যেত। কিন্তু দলগুলো এখানও সেভাবে নামতে পারছে না। অথচ মানুষ একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দেড় যুগ ধরে অপেক্ষা করছে। গত তিনটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এ কারণে আগের তিনটি পার্লামেন্ট ছিল ফ্যাসিবাদে ভরা। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় দেশের মানুষ। এদিকে সরকারের প্রায় ৮ মাস শেষ হতে চলছে, অথচ নির্বাচন নিয়ে কোনো কিছু দৃশ্যমান নয়। এ কারণে সন্দেহের মাত্রা আরও বাড়ছে। তবে সরকারের উচিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্দেহ ও অনাস্থা যাতে তৈরি না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, আমাদের জোট বা দলের অবস্থান হলো দ্রুত নির্বাচন। নির্বাচন দেরি হলে নতুন নতুন সংকট সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, কিছুদিনের মধ্যে সরকার যদি সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের রোডম্যাপ না দেয়, তাহলে অতীতের মতো সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচন আদায়ে যুগপৎভাবে আন্দোলনে নামব। দেশের জনগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, আমরা আশা করি আগামী ডিসেম্বরের ভেতরেই বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে দেশের নতুন এবং পুরাতন ভোটার সকলেই ভোট দিয়ে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের সময়ে কেউ ভোট দিতে পারে নাই। আওয়ামী ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো বহাল তবিয়তে আছে। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। এই মুহূর্তে নির্বাচন অতীব জরুরি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না দিলে আমরা রাজপথে নামব। দ্রুত নির্বাচনের দাবি আদায় করবই ইনশাআল্লাহ। ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন না দিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন আদায় করে নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। পোস্টে অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের অবিলম্বে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারে থাকা ছাত্র প্রতিনিধিদের অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় নির্বাচনকালীন সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হবে না।