ঢাকা শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইসরায়েলে রকেট হামলা, গাজায় বর্বরতা চলছে

ইসরায়েলে রকেট হামলা, গাজায় বর্বরতা চলছে

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডস ইসরায়েলি বন্দর আশদোদকে লক্ষ্য করে রকেটের ঝাঁক নিক্ষেপ করেছে। রোববার বিকেলে চালানো এই হামলার পর আশদোদ, আশকেলন ও তেলআবিবের দক্ষিণের শহরতলিগুলোতে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত কয়েকমাসের মধ্যে হামাসের বৃহত্তম এই হামলার সময় আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। অনেককে ভয়ে কান?া করতে দেখা যায়। ইসরায়েলি মিডিয়াগুলো বলছে, হামলায় আশদোদের অনেক বসতি স্থাপনকারী আহত হন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইসরায়েল হায়োম পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, আশকেলনেও অনেকে আহত হন এবং হামলার পর সেখানে জরুরি চিকিৎসাকর্মীদের পাঠানো হয়। ইসরায়েলি চ্যানেল থার্টিন তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানালেও চ্যানেল টোয়েলভ সেই সংখ্যা সাত বলে উল্লেখ করেছে। আহতদের বারজিলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানিয়েছে সম্প্রচারমাধ্যমটি। হামলায় বেশকিছু ভবন ও গাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় তারা। কাসসামের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গাজার বিরুদ্ধে জায়নবাদী নৃশংসতার জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি মিডিয়ার ভাষ্য, আশদোদকে লক্ষ্য করে মোট সাতটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, গাজা থেকে মোট ১০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়; এর অধিকাংশই তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছেন। পরে তারা জানান, পাঁচটি রকেট প্রতিহত করা হয়েছে এবং অন্য পাঁচটি বিভিন? অবস্থানে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ইসরায়েলের হোম ফ্রন্ট কমান্ড বলেছে, হামলার পর আশদোদ, আশকেলন ও তেলআবিবের দক্ষিণের শহরতলিগুলোতে সাইরেন বাজানো হয়। মধ্যগাজার দেইর আল-বালাহ থেকে এসব রকেট ছোড়া হয় বলে জানিয়েছে চ্যানেল টোয়েলভ।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে রকেট হামলার ‘শক্ত প্রতিক্রিয়া’ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী একটি শক্ত প্রতিক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং হামাসের বিরুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র অভিযান অব্যাহত রাখার অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই ঘোষণা দেয়ার সময় নেতানিয়াহু ওয়াশিংটনে যাওয়ার পথে বিমানে ছিলেন। তিনি সেখান থেকেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের সঙ্গে কথা বলেন। এই বিবৃতির কিছুক্ষণের মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার কিছু অংশের বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।

গাজা উপত্যকায় নির্বিচার হামলা এবং প্রতিরোধ যোদ্ধাদের পাল্টা রকেট হামলার মধ্যে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। এই সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গাজা যুদ্ধ পরিস্থিতি এবং ইসরায়েলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার স্থানীয় সময় রাতে স্ত্রী সারাকে নিয়ে অস্বাভাবিক রুটে ওয়াশিংটনে পৌঁছান বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সফরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী আগামী দুইদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও দেশটির ঊধ?র্তন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। মূলত গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধ ও বন্দিদের মুক্তি, সেইসঙ্গে ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি, যেখানে অন্যান্য দেশের মতো ইসরায়েলি পণ্যের ওপর ১৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে।

টাইমস অব ইসরায়েল বলেছে, সফরসূচি ঘোষণা করার ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে রোববার হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট থেকে ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে রওনা হন নেতানিয়াহু। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে থাকার কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর। তবে চ্যানেল টোয়েলভ জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর এই সফরের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। এদিকে, ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নেতানিয়াহুকে বহনকারী ‘উইং অব জায়ন’ বিমানকে বুদাপেস্ট থেকে ওয়াশিংটনের যাত্রাপথে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ওপর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। ফলে তাকে বহনকারী বিমানকে জরুরি অবতরণে বাধ্য করা হতে পারে, এমন আশঙ্কায় কয়েকটি দেশের আকাসসীমা এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। হারেৎজ বলেছে, ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মনে করেন, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলো গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জারি করা আইসিসির পরোয়ানা কার্যকর করবে। ফলে এসব দেশের আকাশসীমা এড়িয়ে ক্রোয়েশিয়া, ইতালি ও ফ্রান্সের ওপর দিয়ে ওয়াশিংটনে পৌঁছান নেতানিয়াহু।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলার বিরুদ্ধে মরক্কোয় ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। রোববার হাজারো বিক্ষোভকারী মরক্কোর রাস্তায় নেমে এই বিক্ষোভ দেখান। গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিগত কয়েক মাসের মধ্যে মরক্কোয় সবচেয়ে বড় বিক্ষোভগুলোর একটি হয় এদিন। এ সময় দেশটির রাজধানী রাবাতের বিভিন? এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ঢল নামে। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি পতাকা পদদলিত করেন। তারা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হামাস নেতাদের ব্যানার বহন করেন। তাছাড়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ছবির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি যুক্ত করে বানানো ক্ষোভের পোস্টারও বহন করেন তারা। আলজাজিরা জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাজুড়ে একই রকম বিক্ষোভ হয়েছে। তিউনিসিয়া, ইয়েমেন, মরক্কোর অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র কাসাব্লাঙ্কাসহ বিভিন? স্থানে আয়োজিত এসব বিক্ষোভ থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি ও ইসরায়েলের প্রতি নিন্দা জানানো হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা গণহত্যায় ইসরায়েলকে মদত দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী আন্দোলনের ওপর দেশটির কর্তৃপক্ষের দমন-পীড়নেরও নিন্দা জানান।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা মানবিক বিপর্যয় এবং ব্যাপক ধ?ংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছে। এই হামলা সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনের ওপর সব দিক থেকেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এক বিবৃতিতে মিডিয়া অফিসটি বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী নিরাপত্তাহীন বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে এবং অবকাঠামো, গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ-সুবিধা এবং আবাসিক বাড়িগুলোতে ব্যাপক ধ?ংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে। ফলে শহরটি ‘বসবাসের অযোগ্য’ হয়ে পড়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি বাহিনী রাফা শহরের ৯০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর, ২৪টি পানির কূপের মধ্যে ২২টি, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার ৮৫ শতাংশেরও বেশি এবং আটটি স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ?ংস করেছে। তাছাড়া সেখানকার ১২টি চিকিৎসাকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে, হামলার মধ্যেই যুদ্ধবিধ?স্ত দক্ষিণ গাজার ভেতরে নতুন করে একটি ‘নিরাপত্তা করিডর’ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। এরইমধ্যে তারা দক্ষিণের রাফা শহরকে বাকি গাজা থেকে বিচ্ছিন? করতে ‘মোরাগ করিডোর’ স্থাপন করেছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত মানচিত্র অনুযায়ী, করিডোরটি গাজার পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বুধবার নতুন এই করিডোরের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, এটি রাফা শহরকে গাজার বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন? করবে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোরাগ ছিল একটি ইহুদি বসতি, যা রাফা ও খান ইউনিসের মাঝামাঝি অবস্থান করত। নেতানিয়াহু ইঙ্গিত দিয়েছেন, করিডোরটি এই দুই শহরের মধ্য দিয়ে যাবে।

রোববার গাজার মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতি অনুযায়ী, গত ২০ দিনে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় ৪৯০ ফিলিস্তিনি শিশুকে হত্যা করেছে। বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যার অংশ হিসেবে শিশুদের ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মিডিয়া অফিস একে ‘আধুনিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ অপরাধ’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। এই ২০ দিনের মধ্যে মোট ১ হাজার ৩৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হন বলে জানিয়েছে মিডিয়া অফিস। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৬৯৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

মিডিয়া অফিস নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ বলে জানিয়েছে। তাদের ভাষ্য, ধংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। আলজাজিরা জানিয়েছে, রোববার একদিনে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। সোমবার সরাসরি গণমাধ্যমকর্মীদের তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। খান ইউনিসের আল নাসের হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের তাঁবু লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। হামলায় জালেমি আল ফাকাওয়ি নামের এক সাংবাদিকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত আরেক ব্যক্তির নাম ইউসুফ আল খাজানদার। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭ গণমাধ্যমকর্মী।

গাজায় পোলিওজনিত পঙ্গুত্বের ঝুঁকিতে ৬ লক্ষাধিক শিশু : দ্বিতীয় দফায় সামরিক অভিযান শুরুর পর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় পোলিও টিকার চালান প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এতে ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডে বর্তমানে পোলিওজনিত পঙ্গুত্বের ঝুঁকিতে রয়েছে অন্তত ৬ লাখ ২ হাজার শিশু।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী গাজার শিশুদের পরোক্ষভাবে টার্গেটে পরিণতা করছে। তারা গাজায় পোলিও টিকার চালান প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।’

গাজা উপত্যকা উপত্যকা কার্যত বর্তমানে পোলিও টাইম বোমার ওপর আছে। যদি এখন এখানে কোনো শিশুর পোলিও হয়, তাহলে তা খুব অল্প সময়ের মধ্যে মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়বে। এই মুহূর্তে গাজায় পোলিওজনিত পঙ্গুত্বের ঝুঁকিতে আছে অন্তত ৬ লাখ ২ হাজার শিশু।’ ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বের প্রতি অনুরোধ, ইসরায়েল যেন গাজায় পোলিও টিকার চালান প্রবেশ করতে দেয় এবং টিকাকর্মীদের ওপর হামলা না করে- সেজন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমরা পূর্ণ সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’ ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। ওই বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

নেতানিয়াহুর বাড়ির সামনে জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের বিক্ষোভ : পশ্চিম জেরুজালেমে নেতানিয়াহুর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ করেছে গাজায় জিম্মি থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবারের সদস্য এবং সমর্থকরা। প্রিয়জনদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তির দাবিতে তারা এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। সে সময় তারা গাজায় বন্দি থাকা ৫৯ জিম্মির ছবি নিয়ে বিক্ষোভ করেন। খবর আল জাজিরার।

হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তাদের দুজনের মধ্যে সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টা আগেই নেতানিয়াহুর বাসভবনের সামনে ওই বিক্ষোভ হয়েছে।

ভারদা বেন বেরাচের নাতি এডান আলেক্সান্দার গাজায় জিম্মি হিসেবে বন্দি আছেন। তিনি এই দুই নেতাকে এ বিষয়ে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি নেতানিয়াহুর উদ্দেশে বলেন, আপনি এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। আপনার উচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বসে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যেন সবাইকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনা যায়। আমরা এটাই প্রত্যাশা করছি। ইসরায়েল বলছে, তাদের ধারণা গাজায় আর মাত্র ২৪ জন জিম্মি জীবিত রয়েছেন।

আল-আকসা মসজিদে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হানা : অধিকৃত জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে জোরপূর্বক ঢুকে পড়েছে পাঁচ শতাধিক অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদি। গতকাল রোববার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এ কথা জানিয়েছে। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশের নিরাপত্তায় মসজিদ চত্বরে ঢুকে পড়ে অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের বিশেষ উৎসব পাসওভারের সময় এ ধরনের হামলা বা অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে, ইসরায়েলি পুলিশ আল-আকসায় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের প্রবেশে নানা ধরনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চলেছে। এতে ইসলাম ধর্মের তৃতীয় পবিত্রতম এই স্থানটিতে মুসল্লিদের স্বাভাবিক ইবাদতের পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত