ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রপ্তানির ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ

* শতাধিক মার্কিন পণ্য শুল্কমুক্তের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি * যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক সমস্যা সমাধানে আশাবাদী অর্থ উপদেষ্টা * বাংলাদেশের পণ্যে শুল্ক আরোপ করা উচিত হয়নি: পল ক্রুগম্যান
রপ্তানির ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ

বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন শুল্ক আরোপে পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে সরকারের উপদেষ্টারা। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দুটি চিঠিও দিয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকায় যাতে শুল্ক আরোপে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে, সেজন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলছে।

জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ৭৬০ কোটি মার্কিন ডলার পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যার ৯০ শতাংশ পোশাক। একই বাজারে চলতি অর্থবছরে ৬৯৯ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। নতুন শুল্ক আরোপে রপ্তানি খাত বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়ার শঙ্কা থাকলেও প্রতিযোগী কয়েকটি দেশের শুল্কহার বাংলাদেশের তুলনায় বেশি আরোপ করা হয়েছে। এতে কিছুটা সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

রপ্তানি পণ্যের বাড়তি শুল্ক কমাতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার চেষ্টার কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। সেই লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে চিঠি দেয়ার বিষয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, চিঠির ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করি। আমাদের মূল লক্ষ্য ট্রেড গ্যাপটা কমিয়ে আনা।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এদেশে আসে ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। আমদানি রপ্তানির ব্যবধান ঘোচাতে বিশ্বের শতাধিক দেশে বড় অংকের শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বাংলাদেশের পণ্যের ওপর আগে থেকেই ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। এখন আরও ৩৭ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢুকতে সব মিলিয়ে ৫২ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের পণ্য।

বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে সম্পূরক শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। এখন কী কী পণ্য দিয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে পারি সেটাই আমরা দেখছি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য কমাতে বাংলাদেশ এরইমধ্যে ১৯০টি পণ্যের শুল্কহার শূন্য রেখেছে। এবার আরও ১০০ পণ্য যুক্ত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাণিজ্য উপদেষ্টার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা প্রত্যাহারের পর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের সব রপ্তানি পণ্যের ওপর গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ আছে। অথচ বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে গড়ে ৬.১০ শতাংশ শুল্ক নেয়। বাংলাদেশ বেশি আমদানি করে কাঁচা তুলা ও স্ক্র্যাপ লোহা। এ দুটি পণ্যে শুল্ক হার যথাক্রমে শূন্য ও ১ শতাংশ।

চিঠিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান তুলা রপ্তানিকারক দেশ। সেই তুলা দিয়েই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প পরিচালিত হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক খাতসহ অন্যান্য পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় বাংলাদেশের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে অশুল্ক বাধা দূর করা, শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সহজী করা, মেধাস্বত্বের সুরক্ষা এবং ট্রেডমার্ক ও পেটেন্ট সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নেয়ার কথা চিঠিতে তুলে ধরা হয়।

বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘অতি পরিবর্তনশীল’ হিসেবে বর্ণনা করে আমেরিকান প্রশাসন বলেছে, চীন যে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ট্যারিফ ঘোষণা করেছে, তার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আরও ৫০ শতাংশ দিতে পারে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল অবস্থায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া একটু জটিল। শুল্ক নিয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের মধ্যে গত শনিবার সরকারের উপদেষ্টা, বিশেষজ্ঞসহ অংশীজনদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে গত রোববার অর্থমন্ত্রণালয়ে আরেকটি জরুরি সভা হয়। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুটি চিঠি পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রে। চিঠিতে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়ার কথা তুলে ধরে শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিত রাখার অনুরোধ করা হয়। সে কথা তুলে ধরে গতকাল মঙ্গলবার ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা রেসপন্স করেছি, আমরা পজেটিভ কিছু প্রত্যাশা করছি। আমরাও সহযোগিতা করব, তারাও সহযোগিতা করবে। একটা উইন উইন অবস্থা হবে। সামগ্রিকভাবে আমরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছি। আমরা আশা করি তারা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করবে, যেভাবে আমরা তাদের সাথে সহযোগিতা করছি। সুতরাং, এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। আমরা আমাদের সমস্যা তুলে ধরেছি এবং আমি আশা করি এর সমাধান হবে।

বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি ইতিবাচক কারণ, এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক হবে।

এদিকে সম্প্রতি দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নোবেলজয়ী মার্কিন অর্থনীতিবিদ পল ক্রুগম্যান বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পোশাকের ওপর যুক্তরাষ্ট্র যে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে, সেটিকে ‘ভুল পদক্ষেপ’। এমন সিদ্ধান্ত মার্কিন ভোক্তাদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ায়, নিরাপত্তার কোনো সুবিধা এনে দেয় না এবং সামগ্রিকভাবে বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে। পল ক্রুগম্যান বলেন, বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করা এমন একটি পদক্ষেপ, যা আপনার একেবারেই নেয়া উচিত নয়। এটি মার্কিন ভোক্তাদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়ায় এবং আমাদের নিরাপত্তার জন্য কিছুই করে না। তিনি আরও যুক্তি দেন, জাতীয় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দেশীয় উৎপাদনের পাশাপাশি বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে ‘ফ্রেন্ডশোরিং’ বা নিকটবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে ‘নিয়ারশোরিং’ গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। তবে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো দেশগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করা এই লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এমনকি, কানাডা ও মেক্সিকোর মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করা অযৌক্তিক বলে মনে করেন এই মার্কিন অর্থনীতিবিদ।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির সমালোচনা করে ক্রুগম্যান বলেন, বর্তমান প্রশাসন স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন বিশেষজ্ঞদের পরিবর্তে এমন ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করছে, যারা কেবল শীর্ষ নেতৃত্বের পছন্দসই কথা বলেন। তিনি উদাহরণ হিসেবে বব লাইটহাইজারের কথা উল্লেখ করেন, যিনি ওয়াশিংটনে সংরক্ষণবাদী নীতির একজন প্রভাবশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত। ক্রুগম্যানের মতে, লাইটহাইজার একজন জ্ঞানী ও স্বাধীনচেতা ব্যক্তি হলেও তাকে বর্তমান প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেয়া হয়নি। তিনি বলেন, তার (লাইটহাইজার) স্বাধীন মতামত এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি অন্ধ আনুগত্য না থাকার কারণেই সম্ভবত তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি হয়তো বলতেন, ‘না, বাংলাদেশের ওপর শুল্ক আরোপ করা উচিত নয়।’

সরকারের পদক্ষেপে সন্তোষ ব্যবসায়ীরা : মার্কিন শুল্ক আরোপের পর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। গত রোববার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই স্বস্তির কথা জানান ব্যবসায়ী নেতারা। বৈঠক শেষে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তপন চৌধুরী বলেন, আমরা আসলে যতটা চিন্তিত ছিলাম আজকের আলোচনা থেকে সেটার একটা পথনির্দেশনা পেয়েছি। যেটা আমার কাছে মনে হয় ব্যবসায়ীদের কাছে সুখবর আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, আমাদের সামনে সুযোগ রয়েছে। সবসময় বাংলাদেশ থেকে মনে করা হয় তৈরি পোশাক একমাত্র পণ্য যেটা আমাদের রপ্তানির ঝুঁড়িতে রয়েছে। বিষয়টি কিন্তু তা নয়। অনেক পণ্য রয়েছে যেটা সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। আমি একটু আগে টুইটে দেখলাম এরই মধ্যে ভারত থেকে ৩০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের মেডিসিন রপ্তানি হতো। সেগুলোর ট্যারিফ তারা দিয়ে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, চারিদিক থেকে সুযোগ আসছে। এখন আমাদের যে নীতি নির্ধারক রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার যে সুসম্পর্ক রয়েছে, আমি মনে করি এসব ব্যক্তির মাধ্যমে আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব। লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফেকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের স্বস্তির জায়গা তৈরি হয়েছে। সরকারের সুনির্দিষ্ট যে একটা পরিকল্পনা আছে, সেটা একটা টাইমবাউন্ড পরিকল্পনা। আমরা বার বার বলেছি, এটার একটা সেলফ লাইফ আছে যদি আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না করি তাহলে আমরা পিছিয়ে পড়ে যাব। আজ মনে করছি সেটা আমরা করতে পারব। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ আগে, সেখানে বাংলাদেশের স্বার্থটা মাথায় রেখে সুযোগগুলো খুঁজে বের করতে হবে। আমরা খুবই উৎসাহিত হয়েছি। আর একটা বিষয়ে আমরা সবাই এক মত যে, বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা যেন না হারায়। একই সঙ্গে কোনো রকমের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সঙ্গে যেন আমাদের প্রতিযোগিতা না কমে। সেই আস্বস্তই আমরা পেয়েছি সরকারের কাছ থেকে। তিনি আরও বলেন, বেসরকারি খাত থেকে আমরা আত্মবিশ্বাসী যে লেবেলপ্লেইং ফিল্ড থাকলে আমরা পেরেছি এবং পারব। সেই ফিল্ডটা তৈরি করার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। বাকিটা আমাদের সেখানে একটা সম্মিলিত প্রচেষ্টা লাগবে।

নাসিম মঞ্জুর বলেন, আমরা এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এডমিনিস্ট্রেশনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা আরও কি কি জিনিস কিনতে পারি, যেটা আমাদের দেশের স্বার্থে আমাদের কাজে লাগবে। একই সময়ে এই সুযোগটা কীভাবে কাজে লাগাব। আর ভবিষ্যতে আমাদের রপ্তানি বৃদ্ধি করে সেখানকার মানুষের মানোন্নয়ন করতে পারি। সেটা আমাদের উইন-উইন প্রোপজ দেয়ার জন্যই আমরা সম্মিলিত হয়েছি। আমাদের রপ্তানি খাতে তৈরি পোশাকের বাইরে আরও কিছু নতুন নতুন পণ্য রয়েছে। সেটার সবচেয়ে বড় বাজার হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই বাজারকে ইগনোর করা যায় না, করতে চাইও না এবং আমরা করবও না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত