ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের লোগো ও বাংলা নববর্ষ আয়োজনে বিরাট পরিবর্তন আসছে। পুলিশের লোগোয় পাল তোলা নৌকার পরিবর্তে জাতীয় ফুল শাপলা, ধান ও গমের শীষসহ পাট পাতার টবে লেখা থাকছে পুলিশ। এছাড়া এবারের বাংলা নববর্ষে ‘মঙ্গল শোভযাত্রা’ নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণ করা হয়েছে।
পুলিশের লোগো পরিবর্তন ও বাঙালি জাতির ঐতিহ্যবাহী বর্ষবরণের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দায়িত্বে থাকা পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্য বিগত আওয়ামী লীগ আমলে দলীয় ক্যাডার ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। বাহিনীর ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে নানা ‘উদ্যোগের’ ধারাবাহিকতায় বাহিনীর লোগোর পরিবর্তন আসছে। আর ‘মঙ্গল শোভযাত্রা’ নামে কৃত্রিম কার্যকলাপ বাঙালি সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল। মূলত এই কৃত্রিম উদ্ভাবিত মঙ্গল শোভাযাত্রার সঙ্গে পহেলা বৈশাখের কোনো সম্পর্ক নেই। এবার ‘মঙ্গল শোভযাত্রা’র নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামকরণ করায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি ফিরছে। এবার দেশে বসবাসরত ২৮টি জনগোষ্ঠীর লোকজন বাংলা নববর্ষে অংশ নেবে। রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ঐক্যের বার্তা দেবে নববর্ষে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উদযাপন কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে চারুশিল্পীরা। প্রত্যেক বছরের মতো এবারো নানা রকম মুখোশ তৈরিতে ব্যস্ত শিল্পী, শিক্ষক এবং চারুশিল্পী। শোভাযাত্রায় বড় মোটিফের মধ্যে থাকছে কাঠের বাঘ, ইলিশ মাছ, ৩৬ জুলাই (টাইপোগ্রাফি), শান্তির পায়রা, পালকি, জুলাই আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের পানির বোতল। এছাড়া অন্যান্য মোটিফের মধ্যে থাকবে ১০টি সুলতানি ও মুঘল আমলের মুখোশ, ৮০টি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, ২০টি রঙিন চরকি, ২০০টি বাঘের মাথা, ৮টি তালপাতার সেপাই, পলো ১০টি, ৫টি তুহিন পাখি, ৬টি মাছের চাই, ৪টি পাখা, ২০টি মাথাল, ২০টি ঘোড়া, ৫টি লাঙল, ৫টি মাছের ডোলা এবং ১০০ ফুট লোকজ চিত্রাবলীর ক্যানভাস ১০০ ফুট থাকবে। চারুকলার সম্মুখভাগের দেয়ালে আঁকা হচ্ছে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী শখের হাঁড়ির মোটিফ। জয়নুল শিশু নিকেতন দেয়ালে আঁকা হচ্ছে সাঁওতালদের ঐতিহ্যবাহী মাটির দেয়াল অমনরীতি অবলম্বনে চিত্র। বড় মোটিফ থাকবে ৬টি। সবার সামনে থাকবে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’। নারীর দাঁতাল মুখাবয়বে মাথায় রয়েছে খাড়া দুটো শিং।
নববর্ষ আয়োজন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চারুকলা অনুষদের ডিন আজহারুল ইসলাম ঘোষণা করেন শোভাযাত্রার নতুন নাম হল ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। তবে আয়োজন সংশ্লিষ্টরা নাম বদল না বলে, এটাকে ‘পুনরুদ্ধার’ বলছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আজহারুল বলেন, আগেও পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রাটি হত, তার নাম ছিল ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’। সেটি পরে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়েছিল। আমরা আবার ‘আনন্দ শোভাযাত্রায়’ ফিরে গেলাম। এটাকে পুনরুদ্ধার বলা যেতে পারে।
গত শতকের আশির দশকে সামরিক শাসনের অর্গল ভাঙার আহ্বানে পহেলা বৈশাখে চারুকলা থেকে যে শোভাযাত্রা বের হয়েছিল; সেটিই পরে মঙ্গল শোভাযাত্রায় রূপ নেয়। ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতিও পায় এ কর্মসূচি। পহেলা বৈশাখের সকালে বরাবরই রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। নববর্ষ উদযাপনে তার আগে থেকেই শাহবাগ এলাকা রূপ নেয় জনারণ্যে। চারুকলার ডিন বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাপক এই আয়োজনের লক্ষ্যে শোভাযাত্রার নামকরণ করা হয় ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’, যার ছায়াতলে দেশের সকল বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিফলন ঘটবে। প্রতিফলিত হবে বর্তমানের সব শ্রেণির মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা এবং ফুটে উঠবে শোভাযাত্রার প্রকৃত আনন্দ। এবারের আয়োজনে ২৮টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মধ্য শোভাযাত্রাটি সকলের হয়ে উঠবে বলেও মনে করছেন আয়োজন সংশ্লিষ্টরা।
‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ নারীর দাঁতাল মুখাবয়বে মাথায় থাকছে খাড়া দুটো শিং মোটিফটির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি দেখে কেউ যদি কারো সঙ্গে মিল খুঁজে পান, তা প্রত্যকের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমরা সামগ্রিকভাবে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান তুলে ধরছি।
শোভাযাত্রায় ফিলিস্তিনি গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তরমুজ ফিলিস্তিনিদের কাছে ‘প্রতিরোধ ও অধ্যবসায়ের প্রতীক’। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হলেও মূলত এটি তাদের পতাকা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এর কারণ হলো, ফলটির বাইরের অংশের রঙ সবুজ। আর ভেতরের অংশগুলোর রঙ লাল, সাদা ও কালো। এ রঙগুলো ফিলিস্তিনের পতাকার রঙের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
এবারের শোভাযাত্রায় অন্যান্য মোটিফের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মুসলমানদের লড়াই ও সংসামের সাথে সংহতি জানিয়ে তাদের প্রতীক হিসেবে তরমুজের মোটিফ থাকবে। বর্ষবরণ ফ্যাসিবাদ ও নিপীড়নের কালপর্ব শেষে বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চার মুক্তির আলোয় উদ্ভাসিত বৈশাখ। নববর্ষ ১৪৩২ উদ্যাপন উপলক্ষে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বৃহৎ কর্মযজ্ঞ পালন করছে যা ইতোমধ্যে শেষ পর্যায়ে। এবারের নববর্ষ উদ্যাপনে বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এক নতুন এবং অগ্রসর দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়েছে। একই ভূ-খণ্ডে বসবাসরত সকল ভাষা ও সংস্কৃতির অংশীজনেরা একসাথে ঐকতান করতে যাচ্ছে। এবারের নববর্ষ বাংলাদেশি প্রতিটি মানুষের। চৈত্র সংক্রান্তিতে চারুকলায় আয়োজিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এ আয়োজন চলবে।
বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের দুই স্টেশন : চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের হবে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এ সময় শাহবাগ এবং টিএসসির মেট্রোরেল স্টেশনে ট্রেন থামবে না, তবে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
নিরাপত্তা জোরদার : শোভাযাত্রায় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা সামনে না থেকে দুইপাশে হাঁটবে। নিরাপত্তা নিয়ে কোনো রকম ‘শঙ্কাও নেই’ বলে জানানো হয়।
এই আয়োজনকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে বোঝার চেষ্টা করতে হবে বর্ণনা করে চারুকলার ডিন আজহারুল ইসলাম বলেন, বাক ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা এবং মননের মুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে অন্ধকার কাল থেকে, উত্তীর্ণ হবার বার্তা দিতে হবে। এবারের নববর্ষের আয়োজন সকল অন্যায্যতাকে বিনাশ করে ন্যায্য ও সত্যকে নবআলোর গতিধারায় একত্রবদ্ধ করবে গোটা সমাজকে। বৈশাখে ধ্বংস এবং সৃষ্টির সুর দুইই গতি প্রাপ্ত হয়। নববর্ষ পালন জীর্ণ জীবনকে সৃষ্টি দ্বারা বিদীর্ণ করে বেঁচে থাকার প্রেরণা তৈরি করে দেয়। আর সেজন্যই ফ্যাসিবাদের বিনাশ নতুন আলোর পথটাকে উন্মুক্ত করে দেবে, অন্ধকার ছায়াকে বিদায় জানাবে। বৈশাখ ‘সকলের হবে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূ-খণ্ডে বসবাসরত সকল জাতিগোষ্ঠী এবারের বৈশাখ বরণের অংশীদারিত্ব অর্জন করেছে। পাহাড় থেকে সমতল সবাই একসাথে বর্ষবরণ উদযাপন করব। এবারের আয়োজনের মধ্য দিয়ে একপেশে সংস্কৃতি চর্চার সংকীর্ণতা থেকে বের হয়ে আমরা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উদার ও শুদ্ধ চর্চার দিকে অগ্রসর হতে পারব বলে আশা করছি। পহেলা বৈশাখের দ্বিতীয় দিন চারুকলার বকুলতলায় রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশের লোগো পরিবর্তন : রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুলিশের লোগো পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ‘পাল তোলা নৌকা’ বাদ দিয়ে ‘চূড়ান্ত’ হওয়া নতুন লোগো এরই মধ্যে সব ইউনিটকে চিঠি দিয়ে অবগত করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (লজিস্টিকস) নাছিমা বেগমের সই করা চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশের বিদ্যমান মনোগ্রাম-লোগো পরিবর্তনের গৃহীত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন মনোগ্রাম-লোগো চূড়ান্ত করা হয়েছে। যা এরই মধ্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়ে প্রজ্ঞাপন জারির অপেক্ষায় রয়েছে। নতুন লোগোতে থাকছে পানিতে ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা।
দুই পাশে ধান ও গমের শীষের মালা, যার উপরের অংশটি তিনটি পাটপাতা যুক্ত। আর নিচের সংযোগস্থলে বাংলায় লেখা থাকছে ‘পুলিশ’। পতাকা, সাইনবোর্ড, ইউনিফর্মসহ অন্যান্য সামগ্রীতে নতুন লোগো ব্যবহারের জন্য জেলা বা বিভিন্ন ইউনিটকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে, প্রজ্ঞাপন হওয়া মাত্রই তা যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। এর আগে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর পুলিশের লোগো পরিবর্তন করা হয়, যেটি বর্তমানে রয়েছে। এই লোগোতে পাল তোলা নৌকার দুই পাশে রয়েছে গম ও ধানের শীষের মালা। উপরের অংশে একটি শাপলা, আর নিচে বাংলায় ‘পুলিশ’ লেখা রয়েছে। ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মধ্যে গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের দিন থেকেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা-আক্রমণ ও হত্যার শিকার হন পুলিশ সদস্যরা। এরপর থেকে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে ভয় ও আতঙ্কে কাজে ফেরেননি তারা। পরে কেউ কেউ থানায় ফিরলেও তারা সাদা পোশাকে ছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করে ১১ দফা দাবি দেন তারা।
এ পরিস্থিতিতে ১১ আগস্ট সচিবালয়ে কর্মবিরতিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। বৈঠকে পুলিশ সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান ‘ইউনিফর্ম’ বদলানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। পরদিন বাহিনীটির পোশাক ও লোগো পরিবর্তনে কমিটি গঠন করে সদর দপ্তর। গত ২০ জানুয়ারি পুলিশের পোশাক পরিবর্তনের তথ্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সেদিন সচিবালকে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, পোশাক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। পুলিশের জন্য, র্যাবের জন্য এবং আনসারের জন্য। তিনটা সিলেক্ট করা হয়েছে। এটা ইমপ্লিমেন্ট হবে আস্তে আস্তে। একসাথে সব করা যাবে না। বৈঠকের শুরুতে বিভিন্ন পোশাক পরে ১৮ জন পুলিশ, আনসার ও র্যাব সদস্য উপস্থিত হন। সেখান থেকে তিনটি অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে গত ৩ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন সচিব সফর রাজ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ১৪টি সুপারিশসহ গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন। যেখানে পুলিশের নিরপেক্ষতা ও জবাবদিহিতা বাড়াতে জোর দিয়ে পৃথক পুলিশ কমিশন গঠনসহ বলপ্রয়োগ, আটক, গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদে আমূল পরিবর্তন আনার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ও সাক্ষী সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন এবং র্যাবের প্রয়োজনীয়তা পুনর্মূল্যায়নের সুপারিশ করা হয়।