ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে যে কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে তাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঈমানের তাগিদে অংশ নেয়া আহ্বান জানিয়েছেন দেশের সর্বস্তরের ওলামায়ে কেরাম। এতে সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক। আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে জনতার পদযাত্রার মধ্য দিয়ে পালিত হবে এই কর্মসূচি।
জাতীয় খতিব মুফতি মুহাম্মদ আবদুল মালেক বলেন, জায়নবাদী ইসরায়েল ফিলিস্তিনের নিরপরাধ মানুষের ওপর বিশেষ করে নারী শিশুর ওপর যে নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে একে গণহত্যা বললেও কম বলা হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর দ্বারা তারা গোটা মানবতার শত্রুতে পরিণত হয়েছে। এমন অমানবিক পরিস্থিতিতে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করার লক্ষ্যে এবং বর্বরোচিত গণহত্যা ও জাতিগত নিধন বন্ধের দাবিতে আগামী শনিবার ১২ এপ্রিল প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মার্চ ফর গাজার ডাক দেয়া হয়েছে। আসুন, দল-মত নির্বিশেষে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার চেষ্টা করি। আল্লাহতায়ালা এই প্রচেষ্টা সফল করুন এবং কবুল করুন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গাজায় চলমান ইসরায়েলি বর্বরতা ও গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দেশের খ্যাতনামা আলেম, দাঈ, ইসলামি স্কলার, ওয়ায়েজ এবং বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে গাজার নিপীড়িত মুসলিম জনগণের প্রতি সংহতি জানানো হবে। আমরা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীর প্রতি এই কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম (শায়েখে চরমোনাই) এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ইজরায়েল গাজায় ইতিহাসের নিকৃষ্টতম গণহত্যা চালাচ্ছে। তার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে যে আয়োজন করা হয়েছে সেখানে আমি থাকবো, ইনশাআল্লাহ। আপনারাও আপনাদের সাধ্যমত সকলকে নিয়ে সেই আয়োজনে শামিল হোন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক ভিডিও বার্তায় মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, সম্মানিত দেশবাসী, আসুন, মুসলিম উম্মাহর এই চরম দুঃসময়ে ঐতিহাসিক এই মার্চ ফর গাজাকে সফল করার জন্য আগামী ১২ এপ্রিল শনিবার রাজধানীর সরওয়ার্দী উদ্যানে বিকাল ৩টার পূর্বে আমরা দলে দলে সমবেত হয়ে এই কর্মসূচিকে আমরা সফল করি।
প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও সমাজসেবক শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, মানবতার জন্য এদিন আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কাছের মানুষকে আসতে উদ্বুদ্ধ করুন। সম্ভব হলে সন্তানকেও সঙ্গে আনুন। তারাও জানুক পবিত্র ভূমির মানুষের মর্মন্তুদ দুঃখগাথা। পাশাপাশি বিপুল জমায়েতের সুযোগে কোনো অসাধু চক্র যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে বিষয়েও সর্বোচ্চ সতর্ক থাকুন।
দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম এমন একটি গণ জমায়েত হতে যাচ্ছে, যেখানে সকল রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক দলমতের মানুষের সম্মিলিত স্রোত শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মোহনায় মিলিত হবে ইনশাআল্লাহ। মানবতার জন্য এদিন আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। কাছের মানুষকে আসতে উদ্বুদ্ধ করুন। সম্ভব হলে সন্তানকেও সঙ্গে আনুন। সম্মানিত খতিবদের তিনি অনুরোধ করেন— আজকের জুমার খুতবায় ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণ করতে মুসল্লিদের উদ্বুদ্ধ করুন।
এছাড়াও দেশের প্রায় সব ঘরানার আলেম এই কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং সবাইকে এই জমায়েতে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান করছেন। আলেমরা বলছেন, এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদকে সফল করা ঈমানি দায়িত্ব। ধারণা করা হচ্ছে, ফিলিস্তিনের পক্ষে ঢাকার সড়কে এটিই হবে ‘সবচেয়ে বড় মার্চ’।
এই কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, হেফাজতে ইসলাম, জাতীয় দলের ক্রিকেটার, অভিনেতা, তাবলীগ জামাত, আহলে হাদীস, হাইয়াতুল উলইয়া, বেফাকুল মাদারিস, দারুন্নাজাত মাদরাসা, খেলাফত মজলিশ, খেলাফত আন্দোলনের মতো রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। যেমন বায়তুল মোকাররমের খতীব মাওলানা আব্দুল মালেক, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শায়খ মিজানুর রহমান আজহারী, মাহমুদুল হাসান সোহাগ, আয়মান সাদিক, আরজে কিবরিয়া, লতিফুল ইসলাম শিবলীসহ বিভিন্ন সেক্টরের সেলিব্রেটিরা।
উল্লেখ্য, শাহবাগ থেকে মানিক মিয়া এভিনিউ পর্যন্ত ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিনিয়োগ সম্মেলনের কথা বিবেচনা করে স্থান পরিবর্তন করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল শনিবার বিকেল তিনটা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। চলবে মাগরিবের আগ পর্যন্ত।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে অংশ নিতে সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারি। গতকাল জুমার নামাজ থাকায় খতিবদের প্রতি মিজানুর রহমান আজহারি অনুরোধ জানিয়েছেন জুমার খুতবায় ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণ করতে মুসল্লিদের যেন উদ্ভুদ্ধ করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন- সম্মানিত খতিব সাহেবদের কাছে অনুরোধ- আজকের জুমার খুতবায় ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণ করতে মুসল্লিদের উদ্বুদ্ধ করুন।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল শনিবার ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করতে ৬ নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান করেছেন বিশিষ্ট দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ। গতকাল শুক্রবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি সেসব নির্দেশনা তুলে ধরেন। সেগুলো হলো- ১. সহযোগিতাপূর্ণ স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব রাখব। অনুষ্ঠানটা আমার, একে সফল করার দায়িত্বও আমিই পালন করব- এই সংকল্প নিয়েই ঘর থেকে বের হব। ২. আসার পথ কিংবা মার্চ শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল আমরা নিজ দায়িত্বে পরিচ্ছন্ন রাখব। পানি, ছাতা, মাস্ক-সহ অন্যান্য ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে রাখব। মেডিকেল ইমার্জেন্সিতে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মেডিকেল টিম এবং অ্যাম্বুলেন্সের সহযোগিতা নেব। ৩. যেকোনো পরিস্থিতিতে উত্তেজনা পরিহার করব, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হব, অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। ৪. শান্তিপূর্ণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এমন কোনো প্রদর্শনী করব না যা দেশের ভাবমূর্তি নষ্টের কারণ হতে পারে। কোনো দল বা গোষ্ঠীর প্রতীক এড়িয়ে সৃজনশীল ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং কেবলমাত্র বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা বহন করার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করব। ৫. জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধনকে যারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদেরকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করব। দুষ্কৃতিকারীদের প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা নেব। আর মনে রাখব, জুলুমের প্রতিবাদ আরেক জুলুম দিয়ে করা যায় না।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, সকল শ্রেণী-পেশা-দল-মতের মানুষের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের ইতিহাসে আক্ষরিক অর্থেই অভূতপূর্ব এক গণজমায়েতের দ্বারপ্রান্তে আমরা। এই উদ্যোগকে সাফল্যমণ্ডিত করতে উল্লেখিত নির্দেশনা আমরা সবাই অনুসরণের চেষ্টা করব বলে অঙ্গীকার করি।
ফিলিস্তিনে গণহত্যা
জুমায় দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া : ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত ফিলিস্তিনিদের রূহের মাগফেরাত এবং আহতদের সুস্থতা কামনায় দেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর এই বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দোয়া ও মোনাজাত করতে অনুরোধ জানায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজায় নির্মম গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে বর্বর ইসরায়েলি বাহিনী। অবরুদ্ধ গাজায় খাদ্য ও পানীয় সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে নজিরবিহীন মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি এবং গাজাবাসীকে দুর্ভিক্ষের মুখে ফেলেছে।
ইতিহাসের জঘন্যতম বর্বরোচিত গণহত্যায় মুসলিম বিশ্বে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে মন্তব্য করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভ্রাতৃপ্রতিম ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি গভীর শোক, সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এজন্য দোয়া ও মোনাজাত আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি, সমবেদনা ও সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয়, সে বিষয়েও সতর্ক ও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে সারাদেশের মানুষ। জেলা-উপজেলা শহরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নিজেদের অবস্থান থেকে রাস্তায় নেমে এসে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন ও সমাবেশে সামিল হয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বৈশ্বিক ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের জেলায় জেলায় বিক্ষোভ মিছিল, স্লোগান-সমাবেশ ও ধর্মঘট পালন করা হয়।
এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েলের পণ্য নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম এলাকায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এমন দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দেশের যেসব দোকানে বা মার্কেটে ইসরায়েলের পণ্য বিক্রি করা হবে, সেগুলোকেও সম্মিলিতভাবে বয়কটের আহ্বানও জানানো হয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, জুমার নামাজের পর ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, আল কুদস কমিটিসহ একাধিক ইসলামি প্ল্যাটফর্ম ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে ইসরায়েলবিরোধী কর্মসূচি শুরু করেন। তারা গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মুসলিম রাষ্ট্রসমূহকে কার্যকর ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন মানবতার বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ। বিশ্ব সম্প্রদায় বিশেষ করে মুসলিম উম্মাহ এখনো কার্যকর কোনো ভূমিকা নিতে পারেনি। বাংলাদেশের উচিত ইসরায়েলের পণ্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা এবং পররাষ্ট্রনীতিতে কঠোর বার্তা দেওয়া।
সংগঠনটির মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, নিশ্চয়ই, ইসরায়েল আজ যে বর্বরতা চালাচ্ছে, তা শুধু ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে নয় বরং পুরো মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে ইসরায়েলি পণ্য নিষিদ্ধ করা হোক। যারা গণহত্যা চালায়, তাদের সঙ্গে কোনো রকম বাণিজ্যিক বা কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখা মানবতাবিরোধী। সহ-সভাপতি মুফতি শওকত ওসমান বলেন, ফিলিস্তিনে প্রতিদিন শিশুরা বোমায় ছিন্নভিন্ন হচ্ছে। মায়েরা সন্তানের লাশ কাঁধে নিচ্ছেন- এই দৃশ্য আর কতদিন চুপচাপ দেখবো? মুসলমান হিসেবে নয়, একজন মানুষ হিসেবেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বাংলাদেশের জনগণ জেগে উঠেছে, এবার রাষ্ট্রকেও জেগে উঠতে হবে।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এতে অংশগ্রহণকারী বিক্ষোভকারীদের ফিলিস্তিনের পতাকা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে আঁকা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।
এ সময় তাদের, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’, ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’, ‘ফিলিস্তিনের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ জবাব চাই’, ‘গণহত্যা বন্ধ কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’, ‘বিশ্ব মুসলিম লড়াই কর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।