ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাগলা মসজিদের দানসিন্ধুকে পাওয়া গেল ৯ কোটি টাকা

পাগলা মসজিদের দানসিন্ধুকে পাওয়া গেল ৯ কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৪ মাস ১২ দিনে পাওয়া গেছে রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা। এছাড়াও রয়েছে- বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও বিদেশি মুদ্রা। দানের এইসব অর্থ মসজিদের স্থানে আন্তর্জাতিক মানের কমপ্লেক্স বানানোসহ জেলার দরিদ্র-অসহায় রোগীদের চিকিৎসা কাজে ব্যয় হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মসজিদের লোহার দানসিন্ধুক খুলতেই দেখা যায় শুধু টাকা আর টাকা। এসব টাকা বস্তায় ভরে নেয়া হয় ওই মসজিদেরই দোতলায়। পরে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় মসজিদের মেঝেতে বসে টাকা গুনেন প্রায় আড়াইশ’ মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক ও ৭০ জন ব্যাংক কর্মকর্তা। ৩ থেকে ৪ মাস পরপরই এমন দৃশ্যের দেখা মিলে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে। এবার ৪ মাস ১২ দিন পর গতকাল শনিবার সকালে মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে বের করা হয় ২৮ বস্তা টাকা। এছাড়া রয়েছে- বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, রুপা ও স্বর্ণালঙ্কার।

এর আগে, গেল বছরের ৩০ নভেম্বর মসজিদের দানবাক্সে ৩ মাস ১৩ দিনে পাওয়া গিয়েছিল ২৯ বস্তা টাকা। দিন শেষে গণনা করে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, রুপা ও স্বর্ণালঙ্কার। এ মসজিদে সঠিক নিয়তে মানত করলে রোগ-বালাই দূর হওয়া বিভিন্ন মনোবাসনা পূর্ণ হয়। এমন বিশ্বাস থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সকল ধর্মের মানুষ প্রতিনিয়ত মানতের নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার, বৈদেশিক মুদ্রা, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন সামগ্রী দান করে থাকেন। এরই মধ্যে দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত এ পাগলা মসজিদের আয় দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন কমপ্লেক্স নির্মাণ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।

ড. ইউনূসকে ৫ বছর ক্ষমতায় চেয়ে পাগলা মসজিদে চিরকুট : পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকার সঙ্গে মনোবাসনা পূরণের আকাঙ্ক্ষার বেশ কিছু চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি চিরকুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। চিরকুটটিতে লেখা রয়েছে- ‘ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই- সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’ জনশ্রুতি রয়েছে, প্রায় আড়াইশ’ বছর আগে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদ এলাকা জেলা শহরের হারুয়ায় থামেন। তাকে ঘিরে সেখানে অনেক ভক্তকুল সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে ওঠে। পরে কালক্রমে এটি পরিচিতি পায় পাগলা মসজিদ নামে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত