ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ইউনূস

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ইউনূস

খ্যাতনামা মার্কিন সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। তালিকায় আরও আছে ডোনাল্ড ট্রাম্প, ইলন মাস্ক, জেডি ভ্যান্স, ক্লডিয়া শেইনবাউম, টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস, ডেমি মুরসহ বাঘা বাঘা ব্যক্তিরা। তালিকায় বিশ্বনেতা, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, উদ্ভাবক ও সাংস্কৃতিক আইকনদেরও নাম রয়েছে।

২০২৫ সালে টাইমের তালিকায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও সামাজিক উদ্যোক্তা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ স্বীকৃতি পেয়েছেন সামাজিক পরিবর্তন ও মানবিক নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে তিনি বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের পর একটি স্বচ্ছ ও মানবিক নেতৃত্বের প্রত্যাশায় বাংলাদেশি জাতি যখন আশাবাদী, তখন ড. ইউনূস হয়েছেন গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক। টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে ড. ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের ভূমিকা, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার ক্ষুদ্রঋণ মডেলের বিস্তার ও নারীর ক্ষমতায়নে তার অনন্য অবদান বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন টাইমের জন্য লেখা এক প্রবন্ধে ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি শুধু অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটাননি, বরং বিশ্বের প্রান্তিক মানুষের জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছেন। এখন তিনি আবার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এই স্বীকৃতি বাংলাদেশের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি ভবিষ্যতের জন্য এক অনুপ্রেরণাও বটে।

তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে ইউনূসের যুগান্তকারী কাজের কথাও স্মরণ করেন। মুহাম্মদ ইউনূস কয়েক দশক আগে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে সবচেয়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার সুবিধা লাখ লাখ মানুষ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৯৭ শতাংশই নারী।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত