মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী একটি বাসের ছাদ উড়ে গেছে। ছাদ উড়ে গেলেও বাস না থামিয়ে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যাত্রীদের নিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে চলে। এভাবে পাঁচ কিলোমিটার পথ যায় বাসটি। বাসটিতে ৬০ যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে পাঁচজন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একজনকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের সমষপুরে ঘটে এ দুর্ঘটনা। বাসযাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে যাত্রী নিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ‘বরিশাল এক্সপ্রেস’ নামে বাসটি। ঘণ্টাখানেক পর ঢাকা-মাওয়া সড়কে উঠলে প্রথমে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে অপর আরেকটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে বাসের ছাদ উড়ে যায়। তারপরও চালক গাড়ি না থামিয়ে ওই অবস্থায় পাঁচ কিলোমিটার চালিয়ে যান। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বাস থামাতে বাধ্য হন চালক। এসময় গাড়ি থামিয়ে পালিয়ে যান চালক। হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, শ্রীনগরের সমষপুরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির। পরে একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে বাসের ছাদ উড়ে যায়। এসময় কয়েকজন যাত্রী আহত হন। যাত্রীদের চিৎকারেও বাস থামাননি চালক। ছাদবিহীন বাস চালিয়ে পদ্মা সেতুতে না উঠে পাশের সড়কে ঢুকে যায়।
এসময় যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয়রা লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকার ছিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার সামনে বাসটির পথরোধ করে থামায়। এরপর যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত একজনকে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে অন্য গাড়িতে গন্তব্যে পাঠানো হয়। বাসচালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।