আরও ২২ জনের মৃত্যু

কোভিড-১৯

প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২০, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ পুরুষ ও ছয় নারী। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৫৩১ জনে। গতকাল বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮০ ল্যাবরেটরিতে ১৫ হাজার ৪০৮ নমুনা সংগ্রহ ও ১৫ হাজার ২২৯ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৪। এ সময়ে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ২৩৫ জন। দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জনে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়ির রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫০৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ৮ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ ঊর্ধ্ব ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চার এবং ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

বিভাগ বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে পাঁচ, ময়মনসিংহে দুই এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৭ হাজার ৫৩১ জনের মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৭৩৩ জন, যার শতকরা হার ৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ ও নারী ১ হাজার ৭৯৮ জন, যার শতকরা হার ২৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, মৃতদের মধ্যে আটজন অন্য দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এদের মধ্যে একজন হাইপারটেনশন; তিনজন হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিস; একজন হাইপারটেনশন, ডায়েবিটিস ও কিডনি রোগ; একজন শুধু কিডনি রোগ এবং দুজন হাইপারটেনশন, ডায়েবিটিস ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।

চলতি বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।