বৈশ্বিক করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর থেকে দেশের প্রত্যেকটি খাত চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মহামারির এ সময়ে দেশে মোট শ্রমশক্তির তিন শতাংশেরও বেশি লোক কর্ম হারিয়েছেন এবং প্রায় দেড় কোটি লোক নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) যৌথ গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল শনিবার আয়োজিত ওয়েবিনারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা বিষয়ক পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এসব তথ্য উপস্থাপন করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, চাকরি হারানোদের মধ্যে ছয় দশমিক সাত শতাংশ শহরাঞ্চলে অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত ছিলেন এবং ২০২১ সাল শেষ হতে না হতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মহীন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সিপিডি পরিচালিত গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে ‘করোনাকালে শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে ট্রেড ইউনিয়নের ভূমিকা : কতিপয় প্রস্তাবনা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে জানানো হয়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে চার লাখ অভিবাসী শ্রমিক তাদের চাকরি হারিয়েছেন। গবেষণাপত্রে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, করোনা দুর্যোগের সময় ৩ শতাংশ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। শহর অঞ্চলে ইনফরমাল ইকোনমি থেকে ৬.৭৮ শতাংশ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এছাড়া উচ্চ পর্যায়ে ১ কোটি ১১ লাখ থেকে ২ কোটি ৫ লাখ মানুষ চাকরি হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাকরি হারিয়েছেন এসএমই ও ইনফরমাল সেক্টর থেকে। ওয়েবিনারটি পরিচালনা করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিপিডির বোর্ড অব ট্রাস্টির ট্রেজারার সৈয়দ মনজুর এলাহী। এ সময় যুক্ত ছিলেন সংসদ সদস্য ও শ্রমিক নেত্রী শিরীন আকতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আবদুস সালাম, বিআইএলএসের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. আমিরুল হক আমিন প্রমুখ।
